কর্ণাটকের কুর্সি নিয়ে চলা রাজনৈতিক যাত্রাপালার সমাপ্তি ঘটেনি এখনও। বিধায়ক কেনাবেচা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। উত্তাল কর্ণাটক বিধানসভাও। বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগের এহেন পরিস্থিতিতে যারপরনাই বিরক্ত হয়ে এবার নিজেকে ধর্ষিতার সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার কেআর রমেশ কুমার। তিনি জানান যে, তাঁকে এক ধর্ষিতার মতো বারংবার প্রশ্ন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত তিনি একটি বিতর্কিত অডিও টেপ মামলায় জড়িত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার তদন্তের জন্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে।
মঙ্গলবার বিধানসভায় এই অডিও টেপ নিয়ে চর্চা হচ্ছিল। সেইসময় স্পিকারের ওপর বারবার অভিযোগ তোলায় তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘আমার পরিস্থিতি এখন একজন ধর্ষিতার মতো, তাঁকেও বারংবার প্রশ্নের তীরে বিদ্ধ করা হয় এবং ঘটনাটি পুনরায় বলার জন্য চাপ দেওয়া হয়। আমার অবস্থাও ঠিক তেমন।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ভাঙার জন্য বিজেপির প্রধান বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে এক অডিও ক্লিপসে জেডিএস-এর বিধায়ককে প্রলোভন দিতে শোনা যায়। যা নিয়ে সিট গঠন করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। আবেগপ্রবণ স্পিকারের পরামর্শতেই কুমারস্বামী এই সিট গঠন করেছিল। যেখানে নাম উঠে এসেছিল খোদ স্পিকারেরও। স্পিকার নিজেই চেয়েছিলেন সত্যি সামনে আসুক। কারণ তাঁকেও ৫০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছে বলে ওই অডিওতে শোনা গিয়েছে।
বুধবার বিধানসভায় সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে এই বিতর্কিত অডিও নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিট গঠনে প্রবল আপত্তি তুলে বিজেপি জানায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ ধরনের অভিযোগ তাদের ওপর আনা হচ্ছে। যদিও স্পিকার বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা করে চেষ্টা করুন সমাধান বের করার’। তবে স্পিকার রমেশ কুমারের নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে যাওয়ায়, তিনি হয়ত তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, একজন স্পিকার মুখে এহেন মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। যদিও স্পিকারের এহেন মন্তব্য নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি শাসক বিরোধী কোনও পক্ষকেই। কিন্তু মন্তব্য যে নিন্দনীয় তা স্বীকার করে নিয়েছেন সবাই।