নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় আঁচ পৌঁছল সংসদেও। পাশাপাশি দেশকে অশান্ত করে তোলার অভিযোগে মোদী-শাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় তৃণমূল।
লোকসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার খানিক পরেই দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলীয় সাংসদেরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ‘খুনখারাপি বন্ধ করো’ বলে স্লোগানও দেন তাঁরা। সেই সময় অন্যান্য বিরোধী দলের সাংসদেরাও বিভিন্ন ইস্যুতে ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘মোদী-অমিত শাহ এখন ঘনঘন বাংলায় যাচ্ছেন। আর তারই মধ্যে নদিয়ায় খুন হল। গোটা দেশকে ডোবাচ্ছে মোদী-শাহ জুটি’।
এদিন সকাল থেকেই সংসদের দুই কক্ষে কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের প্রসঙ্গটি তুলে সরব হয় তৃণমূল। কংগ্রেস, টিডিপি-সহ বিরোধী দলগুলিও রাফাল তদন্তে জেপিসি, অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ প্যাকেজের দাবিতে ওয়েলে নামে। বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় বেলা ১১ টার পরেই কিছুক্ষণের জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায়।
পরে লোকসভার বাজেট নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে মোদী সরকারকে তোপ দাগেন সৌগত রায়। মোদী সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রসঙ্গ উত্থাপন করে খোঁচা দেন তিনি। বলেন, ‘প্রকল্পটি মেয়েদের জন্য। অথচ প্রচারে সর্বত্র নরেন্দ্র মোদীর ছবি’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর আগে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি জওহরলাল নেহেরু, সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল, ইন্দিরা গান্ধীর মতো বিশিষ্ট নেতাদের নামে হয়েছে। অথচ এখন সবই প্রধানমন্ত্রীর নামে। দেশে কি মোদী ছাড়া আর কোনও নেতা নেই?’ বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের উল্লেখ করে কীভাবে বাংলার মেয়েরা উপকৃত হয়েছেন তাও তুলে ধরেন সৌগত। পাশাপাশি তিনি এদিন কেন্দ্র সিবিআই, ইডি-র মতো সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ করেন। বলেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে কেন্দ্র তথা শাসক বিজেপি তৃণমূল-সহ বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব করে তৃণমূলকে ভয় পাওয়ানো যাবে না। তাঁরা মাথা নত করবেন না’।