আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। গতবছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কম। এবছর পরীক্ষায় বসবে প্রায় ১০ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৮০ জন। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ হাজার ৪০৮ জন কম। পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার এক যুক্তি দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ সোমবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “রাজ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণের হার বাড়ছে। তাই মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমছে।” যদিও নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান পর্ষদ সভাপতির বক্তব্যের সঙ্গে মিলছে না৷ সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রত্যেক বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোটারের সংখ্যা। তাহলে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমার প্রকৃত কারণ কী?
এবার আঠারো হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী কমার কারণ হিসাবে পর্ষদ সভাপতি জানান, রাজ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের হার বাড়ায় মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমছে। তবে বহিরাগত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সামান্য বেড়েছে। গত বছর বহিরাগত পরীক্ষার্থী ছিল ৮২৩। এবার ৯১৬ জন বহিরাগত মাধ্যমিকে বসছে। এবার সংশোধনাগার থেকে কেউ মাধ্যমিক দিচ্ছে না। প্রধান পরীক্ষকের সংখ্যাও এবার বেড়েছে। গতবছর ছিলেন ১০২৫। এবার প্রধান পরীক্ষক থাকছেন ১৫৩৭ জন। বেড়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাও।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কতৃর্পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেন্টার ইনচার্জ, অফিসার ইনচার্জ, ভেনু ইনচার্জ, ভেনু সুপারভাইজার ও অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার ছাড়া কারও কাছে মোবাইল থাকবে না। পরীক্ষা শুরু হবে ১২ টা থেকে। তার ঠিক ২০ মিনিট আগে প্রশ্নপত্র খোলার কথা বলা হয়েছে। ঠিক পাঁচ মিনিট আগে দেওয়া হবে খাতা। প্রশ্নপত্র যাতে কোনোমতেই ফাঁস না হয় তার জন্য এবার শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের ফোন বন্ধ করে স্কুলের আলমারিতে রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সংখ্যা ১৩ শতাংশ বেশি। পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ১২ টা থেকে শেষ হবে ৩ টে পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ১০ টার মধ্যে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হবে প্রশ্নপত্র। ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে কন্ট্রোলরুম চালু করেছে পর্ষদ (২৩২১-৩৮৭২, ২৩৫৯-২২৭৮)। কারও অ্যাডমিট বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিয়ে সমস্যা থাকলে পর্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশেও পর্ষদের পরামর্শ, মোবাইল কেউ নিজের কাছে রাখতে পারবে না। এমনকী হাতঘড়ির ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। ডিজিটাল ঘড়ি চলবে না। শুধুমাত্র সময় দেখা যাবে এমন ঘড়ির ছাড়পত্র পাওয়া যাবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাধ্যমিক চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।