দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। মোদীর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ইতিমধ্যেই ভোটের বিউগল বাজিয়ে দিয়েছে গোটা দেশের বিরোধীরা। এবার যোগীর রাজ্যে ভোটের ময়দান দখল করতে ‘গোলাপি সেনা’ নিয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া। আজ, সোমবার রাহুল গান্ধীকে পাশে নিয়েই উত্তরপ্রদেশ থেকে যোগীর গড় দখলের লড়াই শুরু করে দিলেন তিনি।
এদিন বেলা ১টা নাগাদ লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছে যান প্রিয়াঙ্কা। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই রাহুলের সঙ্গে রোড শো শুরু করেন তিনি। বাসের ছাদে উঠে রোড শো করেন প্রিয়াঙ্কা। সঙ্গে রাহুল ছাড়াও রয়েছেন, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর। এ কারণে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল পুরো রাস্তা। রোড শো থেকেও নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি না রাহুল। রোড শোয়ে তাঁর হাতে রয়েছে রাফাল মডেল।
বিমানবন্দর থেকে আলমবাগ, চারবাগ, হুসেনগঞ্জ, লালবাগ, হজরতগঞ্জ, মায়াবতীর ‘শুঁড় তোলা’ হাতির মূর্তির পার্ক ঘেঁষে রোড-শো যাবে কংগ্রেস দফতর নেহরু ভবনে। সব মিলিয়ে ৩০ কিলোমিটার রাস্তা যাবেন তিনি। পুরো রাস্তাটা ঘিরে ফেলা হয়েছে রাহুল-প্রিয়াঙ্কাদের পেল্লায় পোস্টারে। রাস্তায় গোলাপি জামা পরে ঘুরছে প্রিয়াঙ্কার গোলাপি সেনাও।
কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এমন ৫০০ জনকে আলাদা করে বেছে নেওয়া হয়েছে যাঁদের পরণে থাকছে প্রিয়াঙ্কার ছবি এবং স্লোগান ছাপা গোলাপি জামা। তাঁরাই প্রিয়ঙ্কার গোলাপি সেনা। তাঁদের জামায় হিন্দিতে লেখা, ‘দেশের সম্মানের জন্য, প্রিয়াঙ্কাজি ময়দানে। মনও দেব, সম্মানও দেব, প্রয়োজন পড়লে জীবনও দেব।’
উল্লেখ্য রবিবারই লখনউয়ের সমস্ত কর্মী-সমর্থকের উদ্দেশ্যে কংগ্রেসের শক্তি অ্যাপে প্রিয়াঙ্কা একটি অডিয়ো বার্তা দেন। তাতে তিনি বলেন, ‘নমস্কার আমি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া বলছি। আমি আগামী কাল লখনউ আসছি। আমার আশা আমরা সবাই মিলে একটা নতুন রাজনীতি শুরু করব, এমন একটা রাজনীতি যেখানে আপনারাও অংশীদার— আমার যুব বন্ধুরা, আমার বোনেরা এবং সবচেয়ে দুর্বল মানুষও, সকলের কথা শোনা হবে।’
গতকালের ওই অডিও বার্তা পেয়েই আজ প্রিয়াঙ্কাকে স্বাগত জানাতে প্রচুর কংগ্রেস সমর্থকেরা ভীড় জমিয়েছেন রাস্তায়। তাঁদের সকলেরই মুখে প্রিয়াঙ্কার নামের স্লোগান। আজকের রোড শো যে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের মাথাব্যথা আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।