বাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন তিনি। আর সে কারণেই পরিকল্পনা করে ‘নিখোঁজ’ হয়ে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি কর্মী কার্তিক গড়াই। নিখোঁজ কর্মীর খোঁজ পাওয়ার পর পুলিশের হাতে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ার ভাঙ্গরার নবকুঞ্জ ময়দানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি কর্মী কার্তিক গড়াই। তাঁর পরিবারের দাবি, সেদিনের পর থেকে আর বাড়ি ফিরে আসেননি কার্তিক। তাঁকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজা হয়। আত্মীয়দের বাড়িতেও খোঁজ করা হয়। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। অথচ এলাকা থেকেই উদ্ধার হয় কার্তিকের মোবাইল ও বাইক। এরপরেই ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিজেপির নেতা-কর্মীরা ঘটনার দায় চাপিয়ে দেন তৃণমূলের ঘাড়ে।
যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই দাবি করা হয়েছিল, এই ঘটনায় তাঁদের কোনও যোগ নেই। তদন্তে নামে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুরুলিয়া থানার পুলিস কলকাতায় অভিযান চালায়। আর তারপর কলকাতা থেকেই খোঁজ মেলে কার্তিকের। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাজারে লক্ষাধিক টাকার দেনা ছিল কার্তিকের। প্রচুর লোককে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা পারছিলেন না তিনি। তা থেকেই কি ‘অন্তর্ধান’এর ছক কষেছিলেন কার্তিক? তা জানতেই জেরা চালাচ্ছে পুলিশ।