কেন্দ্রের মোদী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আগামীকাল মঙ্গলবার দিল্লী যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সভা রয়েছে। সেখান থেকেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের আগামী রণকৌশল নির্ধারিত হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বিজেপি বিরোধী জোটের বার্তা দিতে আজ সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর ধর্নামঞ্চে উপস্থিত থেকে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ও সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। ২০১৪ সালে অন্ধ্র ভেঙে তেলেঙ্গানা গঠন হয়। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। মোদী সরকারের বঞ্চনার অভিযোগ এনে ২০১৮ সালে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসে টিডিপি। সেই দাবিতেই এদিন অনশনে বসেছেন চন্দ্রবাবু।
চিটফাণ্ড কাণ্ডে গত ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকরা৷ যা সংবিধান বহর্ভূত বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রতিবাদে সোচ্চার হন মমতা৷ তারপর সংবিধান বাঁচানোর ডাক দিয়ে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের পর মমতার সেই ধর্না মঞ্চই হয়ে ওঠে বিজেপি বিরোধী রাজনীতির মিলনক্ষেত্র৷
কলকাতার সেই ধর্না মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আগামী ১৩ বা ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিরোধীদের সভা হবে। তারপরই পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। তিনি বলেন, ওই দিনগুলিতে রাজধানীর বুকেই হবে ধর্না৷ সামিল হবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মোদীকে পদ থেকে হঠাতেই হবে। দেশে গণতন্ত্র নয়, একনায়কতন্ত্র চলছে।’ রুখে দাঁড়াতে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে দিল্লীর মঞ্চ থেকে মোদী বিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার করার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বার্তা বাস্তবায়িত করতেই এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর দিল্লী যাত্রা বলে মনে করা হচ্ছে৷