নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় আরও জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের টানা জেরা করছে পুলিশ। আটক একজনের নাম অভিজিৎ পুন্ডারি। খবর চাউর হওয়ার পর, শনিবার রাতেই তার বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকার মানুষজন। খুনের ধরণ এবং কিছু ঘটনা দেখে এটিকে পরিকল্পনামাফিক খুন বলেই মনে করছে পুলিশ। জানা গেছে, ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরেই পাওয়া গিয়েছে একটি ওয়ান শাটার বন্দুক। সেটিকে ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই খুনের ঘটনায় বেশকিছু বিষয় উঠে আসছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার মধ্যে একটি হল কয়েকদিন ছুটিতে ছিলেন সত্যজিতের দেহরক্ষী। মনে করা হচ্ছে, সেই সুযোগই নিয়েছিল আততায়ীরা। পাশাপাশি শনিবার পুজোর অনুষ্ঠানে থাকা লোকজনদের দাবি, এদিন অনুষ্ঠান চলাকালীন আধ ঘণ্টার মধ্যে ৫–৭ মিনিট অন্তর বারবার লোডশেডিং হচ্ছিল। ফলে খুনের সুযোগ নেওয়ার জন্যই ওই বারবার বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে উঠেছে। বিধায়ক খুনের ঘটনায় বিজেপির হাত আছে বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় সহ–মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডিও। ঘটনার জেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাঁসখালি থানার ওসি অনিন্দ্য বসুকে। তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকি আততায়ীদের খোঁজ চলছে।