বাগদেবীর আরাধনায় দুই বর্ধমান জেলায় ফল বাজার ও সবজি বাজার আগুন। পুজো উপলক্ষে সবজি ও ফলের দাম অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি।
এদিন বর্ধমান শহরে নারকেল কুল প্রতি কেজি ৪০টাকা, শশা ৮০ থেকে ১০০টাকা, আপেল ১০০টাকা, বেদানা ৮০টাকা, আঙুর ১০০টাকা, শাঁকালু ২০টাকা, রাঙালু ৪০টাকা, কাঁঠালি কলা ৪০টাকা প্রতি ডজন, নারকেল ৩০-৪০টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে। এদিন বাঁধাকপি ২০টাকা, ফুলকপি ২০টাকা, মটরশুঁটি প্রতিকেজি ৩০টাকা, লঙ্কা ১২০টাকা, বেগুন ৪০টাকা, টম্যাটো ২০টাকা, সিম ২০টাকা কিলোদরে বিক্রি হয়েছে।
দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতার সরস্বতী প্রতিমা ১০০থেকে ১৫০টাকায় বিক্রি হয়েছে। আবার বড় প্রতিমা ৭০০-৮০০টাকাতেও বিক্রি হয়েছে। জেলা কালেক্টরেট চত্বরে ফল ব্যবসায়ী ভবেশ দাস বলেন, সরস্বতী পুজোর জন্য ফলের দাম কিছুটা বেশি। তবে, শশার দামটা একেবারে আকাশছোঁয়া। এদিন ১০০-১২০টাকা কেজি দরে শশা বিক্রি হয়েছে। বর্ধমানে রানিগঞ্জ বাজার, পুলিস লাইন বাজার, বড়নীলপুর বাজার, স্টেশন বাজার, বড়বাজার, নতুনগঞ্জ বাজার, আলমগঞ্জে ঝুরঝুরে পুল এলাকার বাজার, রথতলা বাজার, বাজেপ্রতাপপুরে বাজার এলাকায় সরস্বতী পুজো উপলক্ষে সব্জি ও ফল কেনাকাটার জন্য বেশ ভিড় ছিল। সরস্বতী পুজো উপলক্ষে কালনার চকবাজার, জীউধারা বাজার এলাকাতেও ফল ও সব্জি কেনাকাটায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। একইভাবে মেমারি, ভাতার, রায়না, শ্যামসুন্দর, বর্ধমান-২ ব্লকের হাটগোবিন্দপুর, জামালপুর ও খণ্ডঘোষ সহ বিভিন্ন জায়গায় ফলের দাম অনেকটাই বেশি ছিল।
পশ্চিম বর্ধমানে আসানসোলের বিভিন্ন বাজারে কুল কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুর্গাপুরে অবশ্য ওই কুল কেজিপ্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আঙুর ৮০টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। শশা প্রতি কিলো ৮০থেকে ১০০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। শাঁকালু আসানসোলে ৩৫-৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দুর্গাপুরে শাঁকালু ২৫টাকায় বিক্রি হয়েছে। কমলালেবু বিক্রি হয়েছে ৫০থেকে ৬০টাকা কেজি দরে। এদিন সব্জির দামও অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল। বেগুন, সিম ও ফুলকপি কিছুটা বেশি দরেই বিক্রি হয়েছে। এবার মধ্যবিত্ত পরিবার নিজেদের সাধ্যের মধ্যেই সারছে বাণীবন্দনা।