এবার ‘সুপ্রিম’ রায়ে বেকায়দায় বিএসপি সুপ্রিমো। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লখনউ ও নয়ডার পার্কগুলিতে নিজের ও দলীয় প্রতীক হিসেবে হাতির মূর্তি স্থাপন করেছিলেন মায়াবতী। এজন্য ২০০৮-০৯ সালের রাজ্য বাজেটে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই ইস্যুতেই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেলেন তিনি। গতকাল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলে, আমাদের প্রাথমিক মত হল, নিজের ও দলীয় প্রতীকের মূর্তি বানানোর জন্য জনগণের যে টাকা মায়াবতী খরচ করেছেন, তা তাঁকে জমা দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। শীর্ষ আদালতের এই মন্তব্য লোকসভা ভোটের আগে নিশ্চিতভাবেই বিএসপি সুপ্রিমোর বড় অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াল।
সরকারি কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজের ও হাতির মূর্তি স্থাপন নিয়ে মায়াবতীর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পেশ করেছিলেন রবি কান্ত নামে এক আইনজীবী। দীর্ঘ সময় পর এদিন এই ইস্যুতে ফের শুনানি হয় শীর্ষ আদালতে। আর তার ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্টের এই কড়া পর্যবেক্ষণ। মায়াবতীর বিরুদ্ধে করা ওই আবেদনে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার ও নিজের মূর্তি বানানোর জন্য জনগণের টাকা খরচ করা যায় না। মামলাটির শুনানি চালানো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি দীপক গুপ্তা ও সঞ্জীব খান্না। জনগণের এই টাকা মায়াবতীকে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে বলে বেঞ্চের তরফে এদিন প্রাথমিক মত দেওয়া হয়। পাশাপাশি বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হবে আগামী ২ এপ্রিল।
২০০৯ সালের ওই আবেদন নিয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বহু অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছে। সেসময় পরিবেশগত উদ্বেগের বিষয়টিও উঠেছিল। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিয়ে নির্দেশ জারি করেছিল নির্বাচন কমিশনও। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, পার্কগুলিতে স্থাপন করা হাতির মূর্তি ভোটের সময় ঢেকে রাখতে হবে। কারণ হাতি হল মায়াবতীর দলীয় প্রতীক। এবার এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মূর্তি নির্মাণের জন্য খরচ হওয়া কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হতে পারে বিএসপি সুপ্রিমোকে।