আদিবাসী সমাজের প্রকৃতি পূজা ‘সারণা ধর্মে’র সরকারী স্বীকৃতি-সহ ৮দফা দাবিতে ধর্ণায় বসলেন ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্যরা। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে বাঁকুড়া জেলাশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ ও ধর্ণা শুরু করলেন তাঁরা৷
শুক্রবার আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান ও ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির ব্যানারে জেলাশাসকের দফতরে পেশ করা আট দফা দাবিপত্রে আদিবাসীদের প্রকৃতি পুজা- সারনা ধর্মের সরকারি মান্যতা দাবি, সাঁওতালী ভাষা ও অলচিকি হরফ অষ্টম তপশিলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্বেও কেন্দ্র ও রাজ্যে পঠন পাঠনে গুরুত্ব না দেওয়া, অসম ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপ পুঞ্জে দেড়শো বছরেরও বেশী সময় ধরে বসবাসকারী জনজাতিকে এসটি তালিকাভুক্ত করা, আদিবাসীদের জল, জঙ্গল, জমি থেকে জোর জবরদস্তি উচ্ছেদ না করার দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় আডানী পাওয়ার প্রকল্পে আদিবাসীদের জোরপূর্বক জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা, বাংলার অ-আদিবাসীদের এসটি তালিকাভুক্ত করার বিরোধিতা করা হয়। এছাড়াও এই রাজ্য-সহ সারা দেশে আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধ ও নারী সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি করা হয়েছে৷ পাশাপাশি ট্রাইবাল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য এসটি ছাত্রদের আর্থিক সহযোগিতারও দাবি জানান আন্দোলনরত আদিবাসী সংগঠনের নেতারা।
এদিন সকাল থেকে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সদস্যরা তাদের নিজস্ব বাদ্য যন্ত্র নিয়ে জেলাশাসকের দফতরের সামনে ধর্ণায় বসেন। পরে তাদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আট দফা দাবিপত্র পেশ করেন। ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি, রাজ্য কমিটির সদস্য এদিনের ধর্ণায় অংশ নিয়ে বলেন, আমরা আদিবাসীরা ভারতবর্ষের মূল বাসিন্দা। তবুও আজ পর্যন্ত আমাদের সারণা ধর্মের কোন স্বীকৃতি মেলেনি। সেকারণেই বাঁকুড়া জেলাশাসকের মাধ্যমে আমরা আমাদের ধর্মের স্বীকৃতি সহ আট দফা দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে চাই। সেকারণেই এদিনের এই জমায়েত ও ধর্ণা বলে তিনি জানান।
