মান এবং হুঁশ এই দুই থাকলে তবেই প্রকৃত ‘মানুষ’ হয়ে ওঠা যায়৷ সঙ্গে থাকতে হয় মানবিকতা বোধ৷ বর্তমান সময়ে যা ধীরে ধীরে কমছে৷ তবুও এখনও কিছু মানুষ এমন আছেন যাঁরা নিঃস্বার্থ হন, লোভের ঊর্দ্ধে হন, যাঁরা ভীষণ রকম মানবিক হন৷ এই মানবিকতার পথে হেঁটেই এক অটোচালক নিজের মাথায় ঋণের বোঝা থাকলেও ফিরিয়ে দিলেন দশ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ৷
ঘটনাটি তেলেঙ্গানার৷ জে রামালু নামে এক অটোচালকের অটোতে প্রসাদ এবং কিশোর নামের দুই ব্যক্তি রামালুর অটোতে ভুল করে নগদ ১০ লক্ষ টাকার একটি ব্যাগ ফেলে রেখে চলে যান। রামালু জানিয়েছেন যে, ব্যাগটি খুলে অত টাকার নোট এক সঙ্গে দেখে তিনি প্রথমে কিছুটা ঘাবড়েই গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গেই সেকেন্দ্রাবাদের জুবিলি বাসস্ট্যান্ডের অটো স্ট্যান্ড থেকে তিনি পড়িমড়ি অটো চালিয়ে ফেরত আসেন গাচিবোলি এলাকায়, যেখানে ওই দুই যাত্রী অটো থেকে নেমে গিয়েছিলেন। রামালু দেখেন যে ওই দুই ব্যক্তি স্থানীয় পুলিশের কাছে সাহায্য চাইছেন ওই ব্যাগটি খুঁজে দেওয়ার জন্য। তখন সেই পুলিশ কর্তাদের উপস্থিতিতেই টাকা ভরা ব্যাগটি ওই দুই ব্যক্তির হাতে ফিরিয়ে দেন তিনি। রামালুর সততায় খুশি হয়ে তাঁকে দশ হাজার টাকা উপহারও দেন ওই দুই ব্যক্তি।
অটো চালিয়ে রামালুর দৈনিক আয় মাত্র ৫০০ টাকা৷ তার ওপরে রয়েছে অটো কেনার ঋণের বোঝা৷ পেটের দায়ে এবং সন্তানদের পড়াশোনার জন্য বাধ্য হয়েই তাঁর স্ত্রীকেও শ্রমিকের কাজ করতে হয়৷ কিন্তু এতকিছু থাকা সত্ত্বেও টাকা ভর্তি ব্যাগ দেখে পদস্খলন ঘটেনি তাঁর৷ অভাবের কাছে হার মানলেও মানবিকতা তাকে জিতিয়ে দিয়েছে৷