আগামী লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে খুশি হবেন বাংলাদেশের মানুষ। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়ে গেলেন বাংলাদেশের ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র মহম্মদ সঈদ খোকন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সকলের ভালোবাসার একজন মানুষ। তিনি আমাদের দেশের সব অংশের মানুষের কাছে যেমন জনপ্রিয়, তেমনই একজন গ্রহণযোগ্য নেত্রী।
বৃহস্পতিবারই কলকাতায় আসেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই মেয়র। যোগ দেন বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে। ঠিক তার পরের দিন, শুক্রবারই কলকাতা পুরসভায় আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি পুরসভার একদল আধিকারিকও। ঢাকার এই পুরসভার সঙ্গে গতকাল কলকাতা পুরসভার একটি মউ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। দুই পুরসভা দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর ফলে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক চিকিৎসা, শিক্ষা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সহ নানা বিষয়ে মতামত, কার্যপদ্ধতির আদানপ্রদান শুরু হবে বলে জানান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ঢাকার মেয়র।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে কলকাতার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে মন্তব্য করেচহেন সঈদ খোকন। দীর্ঘ কয়েক বছর পর কলকাতায় এসে এখানকার ‘ইতিবাচক পরিবর্তন’ দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর মতে, সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে এখানকার রাস্তাঘাট-সহ সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন। ঝাঁ চকচকে পথঘাট, ডানার মতো জুড়ে থাকা একাধিক উড়ালপুল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কলকাতা আগের তুলনায় অনেকখানি পাল্টে গিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আগামীদিনে দুই শহর এসব ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান এবং সহযোগিতা করবে বলেও জানান প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই মেয়র।