পঞ্চম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে শুধু লগ্নী নয়, তার হাত ধরে কর্মসংস্থানের ওপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে বার্তা দিলেন নিছক প্রচার পেতে শুধু আকাশছোঁয়া লগ্নী প্রস্তাব ঘোষণার বদলে তা রূপায়নেই বেশী আগ্রহী রাজ্য সরকার।
নতুন আসা বিনিয়োগে কাজের সুযোগ তৈরির ওপর মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে জোর দিলেন, অনেকের মতে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যথেষ্ট সংখ্যায় কাজের সুযোগ তৈরি হওয়া-না-হওয়া এ বার লোকসভা ভোটে অন্যতম বিতর্কের বিন্দু। এক দিকে বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও কর্মসংস্থান তার ধারেকাছে পৌঁছয়নি বলে নিয়মিত নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধছেন বিরোধীরা। অন্য দিকে মোদীর দাবি, কাজ হয়েছে যথেষ্ট। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিনিয়োগ টানার মূল লক্ষ্যই কাজের সুযোগ তৈরি। নতুন লগ্নির দৌলতে রাজ্যে ৮-১০ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলেও তাঁর দাবি’।
এই শিল্প সম্মেলনে মমতা বণিক মহলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কাজের সুযোগ তৈরির জন্যই তিনি লগ্নী টানতে আগ্রহী। তিনি জানিয়েছেন, বানতলায় চর্ম শিল্পে আরও ২ লক্ষ কাজের সুযোগ তৈরি হবে। মমতার কথায়, ‘নোটবন্দীর পর দেশে ২ কোটি মানুষ কাজ হারালেও রাজ্যে বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ’। এই প্রসঙ্গে রাজ্যে বিপুল বিনিয়োগ এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অদূর ভবিষ্যতে বাংলাকে অনুসরণ করবে সারা দেশ’। আর লগ্নি প্রস্তাব রূপায়ণের বিষয়ে গুজরাতের নাম না করেও শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের কটাক্ষ, ‘একটি রাজ্য, যেখানে এক জন বিরাট মাপের মানুষ থাকেন, সেখানে ওই হার মেরেকেটে ১.৪৭ শতাংশ’।
