বেনজির অসভ্যতার নয়া মাইলস্টোন গড়ছেন বিজেপির নেতারা।
গেরুয়া শিবিরের বেশীরভাগ নেতানেত্রী মুখ খুললেই নোংরা স্রোতের মতো ভাষা বেরিয়ে আসে। সে বঙ্গ বিজেপির নেতাই হোক কিংবা দিল্লীর নেতানেত্রী। এমনকী মন্ত্রী পদে আসীন থেকেও কুকথার স্রোত থেকে দূরে থাকতে পারেন না তাঁরা। এবার সেই অশালীন অসভ্যতার নয়া নজির গড়লেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। শালীনতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পুতনা রাক্ষসী’ বলে বসেছেন তিনি।
গতকাল লোকসভায় নিজের বক্তৃতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁসির রানি বলেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। আজ সেই সূত্র ধরে তৃণমূলনেত্রীর প্রতি অশালীন শব্দ উগড়ে দেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। তিনি বলেন, ‘মমতার সঙ্গে ঝাঁসির রানির তুলনা করা, রানিকেই গালি দেওয়ার সমান। উনি পুতনা (রাক্ষসী) হতে পারেন। উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টও হতে পারেন। কিন্তু ঝাঁসির রানি কখনওই নন।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই আক্রমণাত্মক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। যিনি মমতাকে ঝাঁসির রানি আখ্যা দিয়েছিলেন, সেই দীনেশ ত্রিবেদী শনিবার বলেন, ‘এতটাই অসভ্য যে ব্যক্তি, তার বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়াটাই উচিত নয়। এরা নিজেদের হিন্দুত্বের এজেন্ট বলে। আগে ভারতীয় সংস্কৃতিটা তো শিখুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী, সেটা বুঝতে এই গিরিরাজ সিংকে সাত বার জন্মাতে হবে’!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন অসভ্যতামি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিব্র নিন্দা আর ছি-ছিক্কারে গিরিরাজ সিংকে শালীনতা শেখার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। তবে এতকিছুর পরেও গিরিরাজের গলায় অনুতাপের লেশমাত্র নেই। ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা, তাঁর প্রধানমন্ত্রীর মতোই ৫৬ ইঞ্চির ছাতি ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।