‘নরেন্দ্র মোদীর মুখ দেখেছেন? ভয় আর লুকোতে পারেন না। প্রধানমন্ত্রী ভীতু। ক্ষমতা থাকলে উনি দশ মিনিটি আমার সঙ্গে মুখোমুখি একমঞ্চে বসুক। পাঁচ বছর আগে বলতেন ৫৬ ইঞ্চির ছাতি, এখন সেটি ৪ ইঞ্চিও হবে না।’ গতকাল ঠিক এই ভাষাতেই মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পাশাপাশি সংসদেও মোদীকে কোণঠাসার করার চেষ্টা চালালেন তিনি।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই মোদী বিরোধী কর্মসূচি ক্রমশ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। সেই মতো দলের সংখ্যালঘু সেলের সম্মেলনে দিল্লীর জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের সভাঘরে রাহুল বলেন, ‘পাঁচ বছরে চিনে ফেলেছি নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি আসলে আপাদমস্তক ভিতু। যদি কেউ তাঁর সামনে দাঁড়ান আর প্রশ্ন করেন, নরেন্দ্র মোদী উল্টো পথে হাঁটা শুরু করবেন। পাঁচ মিনিট আমার সামনে রাখলে সোজা পালিয়ে যাবেন।’ এর পরে মোদীকে অনুকরণ করে মঞ্চে নিজেই উল্টোপথে হাঁটা শুরু করলেন রাহুল।
অমিত শাহ, তাঁর পুত্র জয়, মোহন ভাগবতকেও নিশানা করেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘আরএসএস নাগপুর থেকে দেশটাকে চালাতে চায়। মোদী মুখ। মোহন ভাগবত রিমোর্ট কন্ট্রোল। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ দেখছেন, সব প্রতিষ্ঠানে আরএসএসের লোক বসিয়ে রেখেছে বিজেপি।’ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘সব মন্ত্রক, প্রতিষ্ঠান থেকে বেছে বেছে আরএসএসের লোককে বার করা হবে। আমলারাও যেন বুঝে যান, তাঁরা কোনও সংগঠনের জন্য নয়, কাজ করছেন দেশের জন্য।’
অন্যদিকে, সংসদে রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপনের আলোচনাতেও কংগ্রেস ও তৃণমূল মোদীকে চেপে ধরে। তৃণমূলের বক্তা দীনেশ ত্রিবেদি কলকাতার সিবিআই কাণ্ডকে উল্লেখ করে মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন। অরুণ জেটলির সাম্প্রতিক ট্যুইট প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সিবিআই অ্যাডভেঞ্চারিজম করতে গিয়ে পেশাদারিত্বর কথা ভুলে গিয়েছে। কলকাতায় সেটাই করেছে সিবিআই।
এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে দীনেশ বলেন, শুনে রাখুন, বাংলাতেও একজন ঝাঁসির রানি রয়েছেন। যিনি শর কাটা সকতে হ্যায়, ঝুকা নেহি সকতে। মোদী সরকারের আমলে গোটা দেশে সংঘর্ষ থেকে শুরু করে সংসদকে বুলডোজ করার অভিযোগ তুলে তৃণমূল সাংসদরা স্লোগান দেন, দু’হাজার উনিশ, বিজেপি ফিনিশ।