চ্যাম্পিয়নস লিগে এ সপ্তাহেই খেলা হবে শেষ ষোলোর আটটি ম্যাচ। হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুই লেগের ম্যাচে থাকে ‘অ্যাওয়ে গোল’-এর নিয়ম। এই নিয়মের খাঁড়ায় যেমন অনেক বড় বড় দলের কপাল পুড়েছে তেমন আবার কত ছোট ছোট দল হয়ে উঠেছে ‘জায়ান্ট কিলার’। অনেক দিন ধরে চলা এ নিয়মটাই এখন হুমকির মুখে। উয়েফার সর্বশেষ আলোচনায় উঠেছে এই নিয়ম বাতিলের দাবি।
অ্যাওয়ে গোলনীতি আসলেই একটু গোলমেলে। নকআউট পর্বে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। একটি নিজেদের মাঠে, অন্যটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। যদি দুই লেগ শেষে দুই দলের গোল ব্যবধান সমান হয়, তবে প্রতিপক্ষের মাঠে যে দলের গোলসংখ্যা বেশি, সে-ই দলই জয়লাভ করবে।
অ্যাওয়ে গোলনীতি নিয়ে যে আগে কথা হয়নি, তা নয়। গত সেপ্টেম্বরে উয়েফা এলিট কোচ সম্মেলনে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ ডিয়েগো সিমিওনে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝি না, প্রতিপক্ষ দলের মাটিতে এক গোল বেশি দেওয়ার সুবিধা কীভাবে বাকি ৩০ মিনিটে এক গোল দেওয়ার থেকে বেশি গুরুত্ব পায়।’ সেখানে শুধু তিনি নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন কার্লো আনচেলত্তি, টমাস টুখেলের মতো কোচরাও। তাঁদের দাবিও ছিল একই। এলিট কোচ সম্মেলনে কোনো প্রসঙ্গ উঠলে সেটি বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করে উয়েফা।
‘অ্যাওয়ে গোল’ নিয়মের শুরু ১৯৬৫ সালে। ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপে গোল সমতায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর, এই নিয়মের আবির্ভাব ঘটে। তার আগে পর্যন্ত কয়েন টস কিংবা নিরপেক্ষ মাঠে আরেকটি ম্যাচ খেলে ফল নির্ধারণ করা হতো। অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলে আসা এই নিয়ম এবার তুলে দেওয়া হতে পারে। তার পরিবর্তে আসতে পারে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট ও শুটআউট। তবে এই মরসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগে বহাল থাকছে অ্যাওয়ে গোল নিয়ম।
উয়েফার সর্বশেষ বৈঠকে মৌখিকভাবে কথা উঠেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘ম্যাচ ডে’ পরিবর্তন করার। সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগ আর বৃহস্পতি ও শুক্রবার হয়ে থাকে ইউরোপা লিগের ম্যাচ। এই সূচি পাল্টে ইউরোপিয়ান উইক-এন্ড—শনি ও রোববার সব ম্যাচ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব উঠেছে। তবে কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।