সাহসিকতার স্বীকৃতি দিল রাজ্য সরকার। সোমবার পুলিশের সততা, সাহসিকতা ও সমাজসেবার জন্য ১৪ জনকে এক মঞ্চে এনে তাঁদের সম্মান জ্ঞাপন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও নানা পদক্ষেপে, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে অন্যান্য সাহসিকতার জন্য আরো ৮ জন পুলিশ আধকারিক কে পুরস্কার দেওয়া হয়, ১২ জন কে নিষ্ঠা পদক, ৫১ জন কে প্রশংসা পদক, ৮০ জন কে সেবা পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার দেওয়া হয় ৫ জন সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের খড়ার ফাঁড়ির পুলিশ অফিসারদের কাছে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা এক ১৫ বছরের কিশোরী জানান, তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে জোর করে। কিন্তু সে বিয়ে করতে চান না। অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীর এই সিদ্ধান্ত এলাকায় সাড়া জাগায়।গত বছর ৪ ফেব্রুয়ারী মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর পড়াশোনার ব্যবস্থাও করে। তার ঠিক এক বছর পর, মেট্রো চ্যানেল এ ধর্নারত অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে এই সাহসিকতার পুরস্কার নিলেন সেই সাহসী কন্যা, যার নাম সরস্বতী মালিক।
দুবছর আগে ২০১৭ সালে দক্ষিন ২৪ পরগণায় সোনারপুরে ডাকাতদের বাধা দিতে গিয়ে তাঁদের গুলিতে আহত হন সুব্রত মন্ডল। গোসাবার বরকন্দাজ ঘূর্ণি দুটি শিশু কন্যাকে উদ্ধার করেন জল থেকে, এরকম কিছু মানুষ কে সাহসিকতার পুরস্কার দেন। কলকাতার একজন রিক্সা চালক, তিন জন ট্যাক্সি চালক তাঁদের আরোহীদের দামী জিনিস পেয়ে তাঁদের ফেরত দেন, কলকাতা পুলিশের সুপারিশে তাঁদের পুরস্কৃত করা হয়।
২০১৭ সালে বিমল গুরুং কে ধরবার জন্য অভিযান করেছিলেন অমিতাভ মালিক। বিমল গুরুং-এর গুলিতেই নিহত হন অমিতাভ। গতকাল তাঁর স্ত্রী বিউটি মালিকের হাতে অমিতাভর মরণোত্তর পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী, বিশেষ পুরস্কার পান তিনিও। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের সেরা জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়েছে হাওড়া জিআরপি, সেরা থানা উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানা, কলকাতা পুলিশের সেরা বিভাগ দক্ষিণ পূর্ব বিভাগ। এই বিভাগের পুরস্কার নেন ডিসি কল্যান মুখোপাধ্যায়।
এছাড়াও কলকাতা পুলিশের সেরা থানা হয়েছে প্রগতি ময়দান থানা। সেরা ট্রাফিক গার্ড রিজেন্ট পার্ক ট্রাফিক গার্ড, সেরা শাখা স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। সেরা ব্যাটিলিয়ান তৃতীয় ব্যটিলিয়ান। সব মিলিয়ে সোমবার ছিল সাহসীদের সম্মান জ্ঞাপন এর দিন।