কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই খবর এখন গোটা দেশই জেনে গেছে। সিবিআইয়ের কাণ্ডকারখানার বিরুদ্ধে করা মমতার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সমর্থনে রবিবার রাত থেকেই সোচ্চার গোটা দেশের বিরোধী দলগুলি। এই দলগুলির তাবড় তাবড় শীর্ষ নেতাদের ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেই মঞ্চ থেকে তখন দূরে থাকলেও এবার তৃণমূল নেত্রীর লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন জানাল উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল (বিজেডি)।
সোমবার দল থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে সিবিআইয়ের এই তৎপরতা অপেশাদার সুলভ। এটা রাজনৈতিক
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। উড়িষ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও হঠাৎ তৎপর হয়ে উঠেছিল সিবিআই। দলের লোকসভার দলনেতা ভর্তৃহরি মেহতাব বলেন, ‘সামনেই লোকসভা নির্বাচন। দু’তিন মাস পর নতুন সরকার আসতে চলেছে। এই সময় রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের জব্দ করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। এমন আচরণ বন্ধ হওয়া উচিত।’ তাঁর অভিযোগ, উড়িষ্যাতেও একইভাবে ভোটের মুখে সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে এক বিচারকের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
দেশ জুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের যে জোট বাঁধার প্রক্রিয়া চলছে, তা থেকে বরাবর সরেই থেকেছে উড়িষ্যার শাসক দল বিজেডি। কিন্তু বাংলায় সিবিআইয়ের কান্ডকারখানা দেখে অবশেষে বিজেডিও সামিল হল কেন্দ্রের সমালোচনায়। উড়িষ্যা কংগ্রেসও মমতার লড়াইকে সমর্থন জানিয়েছে। রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়েক টুইট করে জানান, বাংলায় যা চলছে তা হল ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাের ওপর আক্রমণ। বিজেপির ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রশংসাও করেছেন তিনি।