রাজীব কুমার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে নৈতিক জয় হিসেবেই দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধরনা মঞ্চ থেকে তিনি বললেন, ‘এটা আমাদের নৈতিক জয়। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে।’
রাজীব কুমার-সিবিআই মামলায় দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশকে এভাবেই স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের ধর্না মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘আমাদের মামলা জোরাল। আমরা কখনওই বলিনি অসহযোগিতা করব। আমরা তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতার পক্ষে। রাজীব কুমার সব সময় বলেছিলেন, তিনি কোনও নিরপেক্ষ স্থানে বসে কথা বলতে চান। তোমাদের যদি কোনও জিজ্ঞাস্য থাকে সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করো। তা না করে ওরা কোনও নোটিস ছাড়া গোপনে রাজীব কুমারের বাড়িতে চলে গেল। অথচ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে বলে দিয়েছে এখনই গ্রেফতার নয়। কোনও আদালত অবমাননা হয়নি। আমরা আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞ। বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা কোনও সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু এটা যা হয়েছে তা কেন্দ্রের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। আমি শুধু রাজীব কুমারের জন্য ধর্না দিচ্ছি না। দেশের সব অফিসারের জন্য দিচ্ছি। এই জয় সংবিধানের। এই জয় জোটের। এই জয় সারা দেশের, জনতার। সংবিধান বাঁচাও আন্দোলনের’।
মমতার দাবি, ‘১৯শের লোকসভা ভোটে বিজেপি আর ক্ষমতায় ফিরবে না৷ তাই ভয় পেয়েই স্বৈরতান্ত্রিক মোদী সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে মোদী সরকার’। তাঁর প্রশ্ন, ‘বাবুল সুপ্রিয় রোজভ্যালির হয়ে প্রচার করেছেন৷ সেখান থেকে টাকা পেয়েছেন৷ অসমের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা চিটফান্ডের দ্বারা পরিপুষ্ট৷ তাহলে কেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না?’
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর কী ধর্না আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে? মমতার সাফ কথা, ‘বিজেপি বিরোধী বহু দল এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে৷ ফলে তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই চূড়ান্ত হবে ধর্নার ভবিষ্যৎ’৷