২০১৯–এ দিল্লীর ভাগ্য নিয়ন্তা হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। মঙ্গলবার ধর্মতলায় মমতার ধর্না মঞ্চ থেকে আবারও এই বার্তাই দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। রাজীব কুমারকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ধর্না আন্দোলন শুরুর পরের দিনই মমতাকে ফোনে সমর্থন জানিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। এবার মমতার ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে চন্দ্রবাবু বললেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই বিরোধী সংগঠনের মূল কারিগর। তিনিই জোটের প্রধান স্তম্ভ’।
ধর্না মঞ্চ থেকে মমতার আন্দোলনকে ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা করে চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, ‘এই আন্দোলনই বলে দিচ্ছে ২০১৯–এর সরকার গঠনে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী। অবিজেপি জোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি যেভাবে উদ্যোগী হয়েছেন তাতেই স্পষ্ট বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে’। চন্দ্রবাবুর কথায়, ‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশই বলছে মোদীর হার নিশ্চিত। দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো বিপন্ন হতে বসেছে মোদীর শাসনকালে। শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সিবিআই আর ইডি দেখানো হচ্ছে। দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র সংকটে। মোদীকে গদিচ্যূত করতে, দেশ বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই একমাত্র পথ। আর সেই পথে মমতাই হতে চলেছেন নিয়ন্ত্রক শক্তি’।
চন্দ্রবাবু নাইডুর সমর্থনেই সত্যাগ্রহ মঞ্চ থেকে মোদীর স্বৈরাচারী আচরণ নিয়ে সবর হয়েছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। গতকাল রাতেই মমতাকে সমর্থন জানাতে কলকাতায় পৌঁছেছেন তিনি। রাতেই সত্যাগ্রহ মঞ্চে এসেছিলেন। এই একই ভাবে তাঁদেরও সিবিআই এবং ইডি পাঠিয়ে মোদী সরকার হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করেছেন তেজস্বী। মোদীর বিরুদ্ধে সরব হলেই সিবিআই দেখানো হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে তেজস্বী প্রশ্ন তোলেন, ‘সিবিআই যদি সত্যিই নিরপেক্ষ সংস্থা হয় তাহলে অমিত শাহের ছেলের বিরুদ্ধে কেন তদন্ত শুরু করছে না? সব বিরোধী নেতাদের জেলে পাঠানোর চক্রান্ত করছে মোদী। আর সেটার জন্য সিবিআইকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সেকারণেই কেউ সত্যি কথা বলতে পারছে না’।