মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের সিবিআই বিরোধিতার আঁচ যে সংসদে পড়বে তা রবিবারই আন্দাজ করা গিয়েছিল। এদিনই রাহুল, অখিলেশ, কেজরিওয়াল-সহ একাধিক সর্বভারতীয় নেতা মমতাকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তারই প্রতিফলনই পড়ল সোমবারের সাংসদে। সিবিআই নিয়ে আলোচনার দাবিতে প্রবল হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায় সংসদে। তারই জেরে মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষই।
এদিন সাংসদে তৃণমূলের সৌগত রায় বলেন, ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে রাজনৈতিক স্বার্থে সিবিআই–কে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সত্যাগ্রহ কেন্দ্রের সিবিআই–কে অপব্যবহারের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী এবং অমিত শাহের নেতৃত্বে সিবিআই এবং বিজেপি সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে ধ্বংস করছে। এর তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা। সংসদে এর ব্যাখ্যা দিন প্রধানমন্ত্রী।’
লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বললেন, ‘এই সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে সব বিরোধী দলগুলিকে হেনস্থা করার জন্য সিবিআই–কে অস্ত্র বানিয়েছে। যে সব নেতা কেন্দ্রের অনৈতিক কাজকে অসমর্থন করেছেন, যে সব রাজ্যে বিজেপির পা রাখতে অসুবিধা হয়েছে সেখানেই এই ঘটনা ঘটছে।’
তৃণমূলের নেতৃত্বে ১৫টি দল সংসদে সিবিআই নিয়ে আলোচনার জন্য তুমুল দাবি করে। রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধীরা। এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ সংসদের বাইরেও সিবিআই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। সেখানেও কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা তৃণমূলকে সমর্থন করে। বিজেডির মতো দলও সিবিআই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। লোকসভা ও রাজ্যসভার পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে তা শেষপর্যন্ত মুলতুবি করে দিতে হয়।