১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, বাংলায় বিজেপি যেখানেই সভা করবে, ঠিক সেইখানে, সেই একই জায়গায় সভা করবে তাঁর দল। উল্লেখ্য ২৭ জানুয়ারি আন্দুলের চুনাভাটিতে জনসভা করেছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। মমতার নির্দেশ মতো রবিবার তারই পাল্টা সভা করল তৃণমূল। এবং তা ওই একই জায়গায়। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক শীতল সর্দার, বৈশালী ডালমিয়া, গুলশন মল্লিক, হাওড়া পুর নিগমের বিদায়ী চেয়ারম্যান অরবিন্দ গুহ-সহ আরও অনেকে।
ভিড়ে ঠাসা ওই সভায় ফিরহাদ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করতেই হবে। একমাত্র তিনিই পারেন দেশকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে। সারা দেশ দেখে নিয়েছে, একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই কোনও উচ্চবাচ্য করতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিরোধীদের ব্রিগেড সমাবেশ দেখে মোদী কাঁপছেন। ওরা বুঝে গেছে মানুষকে আর ভুল বোঝানো যাবে না। তাই যতই ওরা এ রাজ্য জুড়ে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন, আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যবাসী ওদের যোগ্য জবাব দিয়ে দেবেন।’
গতকাল বামফ্রন্ট ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করে ফিরহাদ বলেন, ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওরা এই রাজ্যে এক হয়েছে। তাই বামেরা বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না। রবিবারও ব্রিগেডে ওরা একই বস্তাপচা অভিযোগ করেছে। যাকে আগেই বাংলার মানুষ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। এই রাজ্যে সিপিএম ও বিজেপির ভাষা একই। ওদের টার্গেট শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সাম্প্রদায়িক বিজেপির হাত ধরতেও বামেদের আপত্তি নেই।’
এর পাশাপাশি সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘বিজেপি আগে তাদের দুটি লোকসভা আসন ধরে রাখার চেষ্টা করুক। তারপর ২২টা আসনের দিবাস্বপ্ন দেখবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই যে কেন্দ্রে সরকার হবে, সেটা বিজেপিও বুঝতে পারছে। তাই তাদের হাতের পুতুল সিবিআই, ইডির মতো সংস্থাকে লেলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু ওই সব সংস্থা দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চুপ করানো যায় না। উনি কেন্দ্রের ভয়ে মাথা নত করার পাত্র নন’।