ডুবুয়ে দিলেন কানহাইয়া কুমার। তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সংযোগ গড়তে আজ ব্রিগেডে আসার কথা ছিল সিপিআইয়ের কানহাইয়া কুমারের। প্রধান আকর্ষণ ছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কানহাইয়া জানিয়ে দিয়েছেন ব্রিগেডে আসতে পারছেন না তিনি। আজ রবিবার সকালেই জানা যায় এই খবর।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরের পর থেকেই অসুস্থ বোধ করেন কানহাইয়া। বেগুসরাইয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তিও হন। চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়িতেই এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে কানহাইয়ার এক ঘনিষ্ঠ পিটিআইকে জানিয়েছেন। কানহাইয়ার এই ‘অসুস্থতা’ নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শেষমেশ মুখরক্ষা করতে অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ব্রিগেডে হাজির করল বামেরা। জানা গেছে সামান্য সময়ের জন্য তিনি ব্রিগেডে থাকছেন। চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়েই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সভায় বুদ্ধদেবের হাজিরা মানেই কর্মী-সমর্থরা তো বটেই, দলও একটা বাড়তি অক্সিজেন পাবে।
বাংলায় ধারাবাহিক নানা নির্বাচনে অবিরাম রক্তক্ষরণ চলেছে বামেদের ভোটব্যাঙ্কে। শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন সমঝোতা হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। আবার সমঝোতা না হলে রাজ্যের যে দু’টি আসন সিপিএমের হাতে আছে তা-ও রক্ষা করা যাবে কি না ঠিক নেই! দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পরিস্থিতিতেই ব্রিগেড সমাবেশ থেকে মরিয়া লড়াইয়ের বার্তা দিতে চান বাম নেতৃত্ব।
কিন্তু রবিবারের সকালে ব্রিগেডের সভায় লোক হয়নি বললেই চলে। সমাবেশ যে ফ্লপ সেটা বলে দেওয়া যায়। অসুস্থতার কারণে কানহাইয়া আসতে না পারাটাও বামেদের কাছে বড় ধাক্কা। শেষমেশ অগতির গতি বুদ্ধবাবু। এখন তাঁকেই ব্রিগেডে হাজির করিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলের মরিয়া চেষ্টা করল আলিমুদ্দিনের নেতারা।
