সপ্তাহান্তের সকাল শুরু হল বড়সড় রেল দুর্ঘটনা দিয়ে। বিহারের হাজিপুরের কাছে লাইনচ্যুত দিল্লীগামী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ৯টি কামরা। রবিবার ভোর ৩টে ৫৮ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি আহত হয়েছেন বহু যাত্রী। দুর্ঘটনার জেরে ট্রেনের প্রায় তিনটি বগি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চলছে উদ্ধারকাজ।
জানা গেছে, ভোর ৩টে ৫২ মিনিটে সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস মেহনার রোড স্টেশন পার হয়। অধিকাংশ যাত্রী তখন ঘুমিয়ে৷ এরপর ঘড়ির কাঁটা যখন ৩টে ৫৮ মিনিটে পৌঁছয়, ঠিক তখনই শাহাদাই বুজুর্গ স্টেশনের কাছে আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে যায় ট্রেনটির ৯টি বগি। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানা যায়নি। পূর্ব রেলওয়ের মুখপাত্র রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, লাইনচ্যুত হওয়া বগিগুলির মধ্যে রয়েছে এস ৮, এস ৯, এস ১০, বিথ্রি (এসি) এবং একটি জেনারেল কামরা।
দুর্ঘটনার পরই শোনপুর ও বরাউনি থেকে এনডিআরএফ এবং চিকিৎসকের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে একটি রিলিফ ট্রেনও। এদিনের দুর্ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। অন্যদিকে, রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল দুর্ঘটনার পরই টুইট করে জানান, উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এদিনের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে এককালীন ৫লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের ১ লক্ষ টাকা এবং সামান্য জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এদিন রেলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। সেগুলি হল সোনপুর- ০৬১৫৮২২১৬৪৫, হাজিপুর- ০৬২২৪২৭২২৩০, বারাউনি-০৬২৭৯২৩২২২।