এটা আসলে দেখনদারির বাজেট। বিদায়ের মুখে জনগণকে প্রতারণার চেষ্টা। ২০১৯-এর অর্ন্তবর্তী বাজেট প্রসঙ্গে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের এই বাজেটের ব্যাপক সমালোচনা করে লোকসভা ভোটের আগে কেউ মোদী সরকারের এই মিথ্যায় কান দেবেন না বলেও আমজনতাকে সতর্ক করেন মমতা।
দিল্লীতে পীযূষ গোয়েলের অর্ন্তবর্তী বাজেট পেশের পর নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মমতা বলেন, বাজেটে যা বলা হয়েছে, তা আগে করেছে রাজ্য সরকার৷ নতুন কিছু ঘোষণা করা হয়নি৷ কৃষকদের কিছুই দেওয়া হয়নি৷ বাংলার নিজস্ব শষ্যবিমা রয়েছে৷ অথচ কেন্দ্রে গত ৪ বছর ধরে চাষীদের জন্য নতুন কোনও ঘোষণা নেই৷ আয়ুষ্মান ভারতের নামে প্রহসন চলছে স্বাস্থ্যখাতে৷ ১০০দিনের কাজের নামে কোনও কাজই করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ শ্রমিকদের টাকা দেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্য খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে৷ রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র৷ ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে৷ ৫৯ মিনিটে ঋণের ঘোষণাকেও সমালোচনা মমতার৷
মমতার কথায়, গোটা দেশে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করেছে মোদী সরকার৷ জিএসটি, নোটবন্দী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিপর্যয়ের পর দেশে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে৷ তাঁর কথায়, অন্তবর্তী বাজেট পেশের নামে মেয়াদউত্তীর্ণ বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার৷
এই বাজেটের কোনও ভবিষ্যত নেই বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের বাজেট শুধুই দেখনদারির বাজেট৷ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে ফেলে কেন্দ্রকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্যের গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ রাজ্যের নিজস্ব স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে৷ স্বাস্থ্যসাথী রয়েছে রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য৷ তাই বাংলায় আয়ুষ্মান ভারতের প্রয়োজন নেই৷ এভাবে ধীরে ধীরে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ বাজেটের নামে প্রহসন চালানো হয়েছে৷ মানুষকে ভাঁওতা দেওয়ার জন্য এই বাজেট বানানো হয়েছে’৷