বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর মিথ্যাচারের জবাব দিয়েছিলেন আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে। রামপুরহাটের সভা থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মমতা বলেছিলেন, ছবি বিক্রি করে ১ টাকাও আমার অ্যাকাউন্টে পড়েছে প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এবার বইমেলার উদ্বোধন করে নিজের আয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই মমতা ছিলেন খুশির মেজাজে। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে তাঁর হাতে আঁকা ছবি দিয়ে একটা ক্যালেন্ডার প্রকাশ হয়। তখনই মাইক হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি কিন্তু সাংসদ বা বিধায়ক হিসাবে মাইনে কিংবা পেনশন নেন না। তাঁর ব্যক্তিগত খরচ খরচার জন্য আয়ের অন্য ব্যবস্থা রয়েছে।
মমতা বলেন, ‘আমি পার্লামেন্ট থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি পেনশন পেতে পারি। কারণ, আমি সাত বারের এমপি ছিলাম। আর এখন আমি তো বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছি। সেখানেও মাসে লাখ খানেক টাকা করে মাইনে পেতে পারতাম। কিন্তু গত সাত বছর ধরে ১ পয়সাও মাইনে নিইনি। আমি না নিয়েছি পার্লামেন্টের টাকা,না নিয়েছি এখানকার টাকা।’
বিকল্প আয়ের কথাও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘গানের সুর দিয়ে এবং বইয়ের রয়্যালটি হিসাবে যা পাই তা দিয়ে আমার চলে যায়। আমার বইগুলো খুব বিক্রি হয়। কয়েকটা বেস্ট সেলার।’
মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা কিছু ছবি নিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরির নেপথ্যে রয়েছেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। বইমেলার মঞ্চে মমতার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ‘শুভাদা আমাকে বলছিলেন, এই যে ক্যালেন্ডার রিলিজ করছ, আবার ওরা না বলে যে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছ। আমি বলেছি, বলে বলুক, দরকার হলে ক্যালেন্ডারগুলো আর কয়েকটা বই পাঠিয়ে দেব।’