এবার রামমন্দির নির্মান নিয়ে আর্থিক দূর্নীতির অভিযোগ উঠল খোদ গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। অযোধ্যা মামলার সঙ্গে যুক্ত নির্মোহী আখড়া প্রশ্ন তুলেছে, মন্দির নির্মাণের জন্য সংগৃহীত ১৪০০ কোটি টাকা কোথায় গেল? পাশাপাশি অযোধ্যার বিতর্কিত জমির বাকি অংশ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মোদী সরকারকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াকেও ভালো চোখে দেখছে না তারা। আদালতে এর বিরোধিতা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে নির্মোহী আখড়া।
নির্মোহী আখাড়ার সীতারাম দাসের অভিযোগ, ‘সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের যাওয়া তো বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে যোগসাজশ। আমরা আইনজীবীকে বলে দিয়েছি, আদালতে এর বিরোধিতা করতে’। তাঁর দাবি, ‘রামমন্দির নির্মাণের জন্য প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার পুরো দায়িত্ব পরিষদের হাতেই তুলে দিতে চাইছে মোদী সরকার’। সেই সঙ্গে প্রশ্ন, ‘এত টাকা কোথায় গেল? কেন পরিষদ মন্দির তৈরি করবে?’ মামলার আর এক অংশীদার রামলালার পক্ষ থেকেও মহন্ত ধর্মদাস জানান, তাঁরাও এর বিরোধিতা করবেন। মজার বিষয়, গেরুয়া শিবিরের মধ্যে একমাত্র বিশ্ব হিন্দু পরিষদই গতকাল সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তাদের মৌরসিপাট্টা মেনে নিতে চাইছেন না সাধুদের বড় অংশ।
এখানেই শেষ নয়। আগামীকাল প্রয়াগরাজের কুম্ভে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্ম সংসদ শুরুর আগেই, দুই মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতীও আজ ঘোষণা করেন, ২১ ফেব্রুয়ারি অযোধ্যায় শিলান্যাস করতে যাবেন। তাঁদের মতে, এতে আইনভঙ্গ হবে না, কারণ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করেনি। তার পরেও গুলি খেতে হলে খাবেন সন্তেরা। অথচ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র যাওয়ার পর সাধুদের বুঝিয়ে মোদীর পক্ষে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একাংশ।