তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানোর লক্ষ্যেই সেই বিহার থেকে বাংলায় সভা করতে উড়ে এসেছিলেন তিনি। তবে মমতার রাজ্যের হালহকিকত দেখে তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে এল সত্যিটাই। শেষমেশ বাংলায় সহাবস্থানের বাতাবরণের প্রশংসাই করে গেলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। হাওড়ায় রবিবার বিজেপির এক সমাবেশে সুশীল বলেন, ‘বাংলাকে ধন্যবাদ! বিহার থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে কাজের সন্ধানে আসেন। বাংলায় তাঁরা কাজও পান, সম্মানও পান।’
তৃণমূলের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম অবশ্য বিজেপি নেতার এই প্রশংসাকে তেমন আমল না দিয়ে কটাক্ষই ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘বিহারের মানুষ এখানে কাজ করবেন, গুজরাটে কাজ করবেন, এটাই দেশের সার্বভৌমত্ব। বাংলায় তৃণমূল একে মান্যতা দেয়। কিন্তু গুজরাটের বিজেপি সরকার তা দেয় না।’
গতকাল হাওড়ায় অবশ্য বাংলার বর্তমান শাসক দলকে নিশানা করেই বক্তৃতা শুরু করেন সুশীল। বলেন, ‘এক সময় বলা হত, বাংলা আজ যা ভাবে, বাকি ভারত ভাবে তা পরের দিন। কিন্তু ৩৪ বছরের বাম জমানা এবং বর্তমান তৃণমূল জমানা সেই উজ্জ্বল বাংলার ছবি ম্লান করে দিয়েছে।’ কিন্তু এরপরেই আত্মবিরোধীতার সুর ধরা পরে তাঁর গলায়। বাংলায় বিহারের মানুষদের কাজের প্রসঙ্গে ঢুকে যান তিনি। পরোক্ষভাবেই ঢালাও প্রশংসা করে দেন রাজ্য সরকারের।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি যেখানে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সভা করে গিয়েছিলেন, সেই জয়নগরের একই মাঠে গতকাল পাল্টা সভা করেছেন ফিরহাদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিজেপি গণতন্ত্র মানে না, দেশের সংবিধান মানে না। ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কাজে লাগায়।’
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, অখিলেশ যাদব থেকে মায়াবতী— সকলের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। তাঁর সাফ কথা, এই বিজেপির মুখে ‘গণতন্ত্রে’র কথা মানায় না।