কোচ বদলেও মোহনবাগানের ভাগ্য বদলালো না। মরশুমের শেষ ডার্বিতেও হারতে হল সবুজ মেরুনকে। অবশ্য পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিলেন কোচ খালিদ জামিল। বললেন, “ফল আমাদের পক্ষে যায়নি। তবে সবাই চেষ্টা করেছে।” রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েও কোন মন্তব্য করতে নারাজ খালিদ। মোহন কোচ বলেন, “আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। এই হারের পুরো দায় আমার।”
মাঠে নামার আগেই বাগান শিবিরে লাগে এক বড় ধাক্কা। প্রথম একাদশ ঘোষণার পরেই চোটের কারণে ছিটকে যান ইউটা কিনোয়াকি। জাপানি মিডফিল্ডারের অভাব ঢাকতে হেনরি কিসিয়াকাকে খেলানো হয়। তবে মাঠে তাঁর উপস্থিতি খেলায় ফেরাতে পারেনি মোহনবাগানকে। মাঝমাঠে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বা আক্রমণে অংশ নেওয়া – দুই ভূমিকাতেই হেনরি ব্যর্থ। খালিদ অবশ্য ইউটার না থাকাকে অজুহাত করতে চাননি।
ব্যর্থ ডিপান্ডা ডিকাও। আই লিগে দুবারের সর্বোচ্চ গোলদাতা অতীতের ছায়া মাত্র। খেলার শুরুতে একটি সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ। কোনও নির্দিষ্ট খোলোয়াড়কে দোষ না দিয়ে খালিদ বলেন, “পুরো দলই খেলতে পারেনি।” দলের এক নম্বর বিদেশি সনি নর্ডি ব্যর্থ। তবুও তাঁকে আড়াল করছেন বাগান কোচ।
৩০ জানুয়ারি ফের ম্যাচ। সেই ম্যাচে ভালো ফলই এখন পাখির চোখ। আই লিগের খেতাবি দৌড় থেকে দল ছিটকে গেলেও খালিদ মন্দের ভালো পারফরম্যান্স করার আশায়। অমন পরিস্থিতিতেই মোহনবাগান কোচ খালিদ জািমল ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার কাজ শুরু করে দিেলন যুবভারতীর ড্রেসিংরুম থেকেই। ‘ভেঙে পোড়ো না। পরের ম্যাচগুলোয় ভাল খেলার চেষ্টা করো। সেরাটা দাও।’ হতে পারে আই লিগ হাতছাড়া। কিন্তু বাকি ম্যাচগুলোয় ভাল খেলার জন্য ফুটবলারদের চাঙ্গা করার দায়িত্ব এইভাবেই তুলে নিয়েছেন কোচ।
সবশেষে খালিদ জানিয়ে গেলেন, ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হল, প্রথমেই মোহনবাগান দুটি ৫০:৫০ সুযোগ পেয়েছিল। সেই সুযোগ থেকে গোল হয়ে গেলে ম্যাচের ফল বদলে যেত। যা আর হল না বদলা নেওয়ার ম্যাচে। এদিন ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দু’দলের ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং কলকাতার ব্রিটিশ হাইকমিশনার ব্রুস বাকনেল।