এর আগে তাঁর সুন্দর মুখশ্রী নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ধেয়ে এসেছিল গেরুয়া শিবির থেকে। আর এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ব্যক্তিত্বকে ‘চকলেটে’র সঙ্গে তুলনা করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়৷
দেশের রাজনীতির মাহেন্দ্রক্ষণে কংগ্রেসের তরফে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে ইন্দিরা-নাতনী৷ তবে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগে থেকেই গেরুয়া শিবিরের নিশানায় প্রিয়াঙ্কা৷ শনিবার রাজধানীতে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘কংগ্রেসের এখন নেতার অভাব৷ তাই ভোটে জিততে চকলেটের মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন প্রিয়াঙ্কাকে সামনে আনা হচ্ছে৷’ লোকসভার আগে প্রিয়াঙ্কা ক্যারিশ্মা থামাতে এভাবেই প্রচার করছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা৷
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই বিহারের মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক বিনোদ নারায়ণ ঝা প্রিয়াঙ্কাকে সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘প্রিয়াঙ্কা সুন্দরী, কিন্তু রাজনীতিতে তার কোনও কৃতিত্ব বা পারদর্শিতা নেই৷ তাই তাঁর দ্বারা ভোটে কোনও সুবিধাই করতে পারবে না কংগ্রেস৷’ এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘তাঁর হয়তো ৩৭-৩৮ বা ৪৪ বছর বয়স হবে। কিন্তু এত বছর বয়সেও তাঁর কোনও রাজনৈতিক কৃতিত্ব নেই। তিনি সুন্দরী, ভগবান তাঁকে রূপ দিয়েছেন। কিন্তু কতদিন সেই রূপ দিয়ে তিনি সুযোগ নেবেন?’
স্বাভাবিক ভাবেই মন্ত্রীর এমন মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ তাঁর মন্তব্যে লিঙ্গ বৈষম্যের অভিযোগ করেন বিরোধীরা৷ এছাড়াও একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন বিজেপি নেতারা। এবার আলটপকা মন্তব্য করে সেই বিতর্ককে আরও খানিকটা উস্কে দিলেন কৈলাশ। তাঁর এমন নারী বিদ্বেষী মন্তব্যের বিরোধীতায় ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, প্রিয়াঙ্কাকে রাজনীতিতে এনে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন রাহুল গান্ধী৷ হয়তো বরাণসীতে মোদীর বিপক্ষে লড়াই করবেন সোনিয়া-কন্যা৷ কঠিন চ্যালেঞ্জ বিজেপির৷ তাই আগে থেকেই প্রিয়াঙ্কার সমালোচনায় সরব হচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা৷