আজ রবিবার বাংলা জুড়ে পালিত হচ্ছে খাদ্যসাথী দিবস। ‘সবার জন্য খাদ্য’ নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় চালু করেছেন এই প্রকল্প। জঙ্গলমহল, আইলা বিধ্বস্ত অঞ্চলের মানুষ, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক এবং টোটো জনজাতির মানুষদের এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয় বিশেষ প্যাকেজ। রবিবার সকালে একটি টুইটের মাধ্যমে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে মমতা লেখেন, ‘আজ বাংলায় আমরা খাদ্যসাথী দিবস পালন করছি। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার ৯০ শতাংশ মানুষ ২ টাকা কিলো চাল পান। এছাড়াও জঙ্গলমহল, আইলা বিধ্বস্ত অঞ্চল, সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের এবং টোটো জনজাতির মানুষকে আমরা বিশেষ প্যাকেজ প্রদান করি’।
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে ৮ কোটি ৪৬ লক্ষ রাজ্যবাসীকে। তাঁদের দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড। প্রকল্প আওতাভুক্তদের মাথাপিছু ২ টাকা কেজি দরে মাসে ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম সরবরাহ করা হয়।
সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষক, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং জঙ্গলমহলের উপভোক্তারা বর্ধিত খাদ্য পাচ্ছেন। টোটো জনজাতিদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হচ্ছে। পুরুলিয়ার খরা-কবলিত ১২ লাখ আদিবাসী, ৩৩ লাখ জঙ্গলমহলবাসী এবং রাজ্যের সমস্ত আদিম উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পে ৪৫০০ জন অপুষ্টি আক্রান্ত শিশুকে চিহ্নিত করে তাদের বিনামূল্যে ১ বছরের জন্য চাল, গম, মসুর ডাল এবং ছোলা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পের জন্য মোট খরচ হয়েছে ৪,২৮২ কোটি টাকা।