শেষ হওয়ার নামই নেই। এখনও রমরমিয়ে চলছে কর্ণাটকের কুর্সি নিয়ে রাজনৈতিক যাত্রাপালা। অপারেশন পদ্ম ঘিরেই আবর্তিত গোটা পালাটি৷ এতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর অভিযোগ, জেডিএস বিধায়কদের এখনও ফোন করে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে বিজেপি৷ টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকার অফার৷ কুমারস্বামীর এই অভিযোগকে সমর্থন করেছেন লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও৷
শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা কুমারস্বামী বলেন, ‘অপরেশন পদ্মের চেষ্টা এখনও চলছে৷ শুক্রবারই বিরোধী দলের তরফে আমাদের এক বিধায়ককে দল বদলের জন্য প্রচুর টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ টাকার অঙ্ক শুনলে হতভম্ব হয়ে যেতে পারে যে কেউ৷ যদিও প্রলোভন এড়িয়ে গিয়েছেন আমাদের সেই বিশ্বস্ত বিধায়ক৷’
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে সমর্থন করেছেন রাজ্যের কংগ্রেসের মুখ সিদ্দারামাইয়া৷ তাঁর অভিযোগ বিজেপি নেতার ও প্রাক্তন মন্ত্রীরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত৷ সেই টাকাতেই চলছে জোট সরকার ভাঙানোর চেষ্টা৷ অন্যদিকে খাড়গেও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বলেন, ‘লোকসভার আগে বিজেপি, আরএসএস কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে কর্ণাটকের সরকার ফেলে দিতে চায়৷ কিন্তু দল ভাঙানোর চেষ্টা বৃথা যাবে৷ একটা বিধায়ক গেলে জোটের দিকে সমর্থনের হাত বাড়াবে বিরোধী দশ বিধায়ক৷’
২৮০ আসনের কর্ণাটকে সরকার গড়তে ম্যাজিক ফিগার ১৪১টি৷ এর মধ্যে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি পায় ১০৪ আসন৷ অন্যদিকে, কংগ্রেস ও জেডিএস, এই দুই দলের ঝুলিতে যায় ১৩৭ আসন। স্বাভাবিকভাবেই আসন বেশি থাকায় বহু টালবাহানার পর রাজ্যে সরকার গড়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট। প্রেস্টিজ ফাইটে হেরে এরপর থেকেই ঘুর পথে রাজ্য জয়ের পরিকল্পনা করে বিজেপি৷ শুরু হয় অপারেশন পদ্ম৷
কিন্তু তাতে কোনও লাভই হয়নি৷ শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য দখলের প্রতিশ্রুতি দিলেও গুরুগ্রাম থেকে শুকনো মুখেই ফিরতে হয় বিজেপি বিধায়কদের৷ ফলে দলের অন্দরেই ক্ষোভ দানা বেঁধেছে৷ সেই অসন্তোষেই প্রশমনের দাওয়াই হিসাবেই কী ফের অপারেশন পদ্মের চেষ্টার গেরুয়া শিবির? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের৷ তবে কুর্সি নিয়ে যে আপাতত বেশ স্বস্তিতেই রয়েছেন কুমারস্বামী, এমনটাই মনে করছেন তারা।