প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতা সানি দেওলের বিখ্যাত সংলাপ মনে আছে নিশ্চয়। ‘তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ’।
হ্যাঁ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অবস্থা এখন সেরকমই। একই রকম ক্রোধে ফুটতে ফুটতে তারা এখন বলছে, শুধু তারিখের পর তারিখ, তারিখের পর তারিখ!
কারণ, প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে সভা করার নতুন নতুন তারিখ ঘোষণা করছে রাজ্য বিজেপি। বদলেও ফেলছে। আর সেসব শুনতে শুনতে হিমশিম অবস্থা রাজ্য দলের নেতা-কর্মীদের। বিজেপির বঙ্গ সভাপতি দিলীপ ঘোষ একাধিক দিন ঘোষণা করেছেন আবার। তবে একই সঙ্গে শুনিয়ে রেখেছেন বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ – ‘তারিখ বদলাতেও পারে।’
দিলীপ বলেন, ‘আগামী ২৯ এবং ৩০ জানুয়ারি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা করার কথা ঘাটাল ও আরামবাগে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আসার কথা ৩ এবং ৫ ফেব্রুয়ারি। ৩ তারিখ তাঁর সভা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়। ৫ তারিখ বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে।’ তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানেরও ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আসার কথা রাজ্যে। সূত্রের খবর, দিল্লি ইতিমধ্যেই ২ এবং ৩ তারিখ রাজনাথের সম্ভাব্য সফরের তারিখ পাঠিয়েছে। ওই দিনই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা ঠাকুরনগর ও দুর্গাপুরে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য দলে। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের প্রশ্ন, যে দিন প্রধানমন্ত্রীর দু’টি সভা হওয়ার কথা, সে দিন ডায়মন্ডহারবারে রাজনাথের সভার আয়োজন করা কি আদৌ বাস্তবসম্মত?
সূত্রের খবর, এ দিন অমিত শাহের দফতর থেকেও একটি নতুন তারিখ পাঠানো হয়েছে। ২৯ জানুয়ারি কাঁথিতে সভা করতে পারেন তিনি।
