এবার মুখ্যমন্ত্রীর কল্যাণে হাসি ফুটল দক্ষিণেশ্বরের দোকানদারদের মুখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, স্কাইওয়াক হলে সেখানে দোকানঘর দেওয়া হবে দোকানদের। যেমন কথা, তেমনি কাজ। বৃহস্পতিবারই ৫৫ জন দোকানদারের হাতে চাবি তুলে দিলেন কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা। বাকিদের হাতেও খুব তাড়াতাড়ি চাবি তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সুন্দর ঝকঝকে স্কাইওয়াকের ওপর দোকানঘরের অধিকার পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই দোকানদারদের মধ্যে এখন খুশির বন্যা বইছে। দীর্ঘদিন ধরেই ওই সমস্ত দোকানি দক্ষিণেশ্বরের প্রবেশ পথ রানি রাসমণি রোডের ওপর পুজোর ডালি, প্রসাদ বিক্রি করে আসছিলেন। স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য তাঁদের সেখান থেকে অন্যত্র সরে যেতে হয়।তবে স্কাইওয়াক তৈরির পর তার ওপর দোকানদারদের জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেই প্রতিশ্রুতি মতোই তাঁদের দোকানঘর ফিরিয়ে দিল সরকার।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সুবিধার কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণেশ্বর রেলস্টেশন থেকে মন্দির পর্যন্ত আকাশপথ স্কাইওয়াক নির্মাণের চিন্তা করেন। তাকে বাস্তব রূপ দিতে তড়িঘড়ি তার শিলান্যাসও করেন তিনি। এরপরই তৈরি হয় দেশের প্রথম তথা বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় স্কাইওয়াক। গত কালীপুজোর আগের দিনই মুখ্যমন্ত্রী ওই সুদৃশ্য স্কাইওয়াকটির উদ্বোধন করেন এবং তার নাম দেন দক্ষিণেশ্বর রানি রাসমণি স্কাইওয়াক। এরপর তাঁর নির্দেশেই স্কাইওয়াকের মাঝ-বরাবর করা হয়েছে সারি সারি সুন্দর দোকানঘর।
স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ চলাকালীন বেশ কিছুদিন কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে দোকানিদের। কিন্তু কথায় আছে, কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে। তাই সহযোগিতার মাধ্যমে স্কাইওয়াক তৈরির পথ মসৃণ করার পুরষ্কার স্বরূপ এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে নতুন দোকানঘর উপহার পেলেন তাঁরা।