মতুয়া মহাসঙ্ঘের ডাকে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওইদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে তিনি বড়মাকে প্রণামও করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন মতুয়া সমাজের প্রধান উপদেষ্টা বীণাপানি দেবী (বড়মা)-র নাতি শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চ্যালেঞ্জ, বড়মা দেখাই করবেন না নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর ‘মাথা খারাপ’ হয়ে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আসছেন, আসুন। তবে, বড়মা তাঁর প্রণাম নেবেন কি না সেটা জেনে আসা উচিত ছিল।’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘বড়মা প্রণাম গ্রহণ তো দূরের কথা, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখাই করবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘বড়মা যদি দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন, যদি বলেন নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করব না, তা হলে উনি কি জোর করে ঢুকবেন? মিলিটারি দিয়ে দরজা ভাঙবেন?’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মতুয়া সমাজের অধিকাংশই তৃণমূলের দিকে ঝুঁকে। সেটাকেই পাল্টাতে চাইছেন মোদী। মতুয়াদের ব্যবহার করে সেই ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগর সফরও যে সেই লক্ষ্যেই, তা নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরের কোনও সংশয় নেই।
জ্যোতিপ্রিয়র মতে, ‘প্রধানমন্ত্রী ভোটের জন্য ঠাকুরনগরে আসছেন। কিন্তু, বিজেপি একটি ভোটও পাবে না এই এলাকায়’। তাঁর দাবি, মতুয়াদের ১০০ শতাংশ ভোটই তৃণমূল পাবে। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, ‘ওখানে কয়েকটা চ্যাংড়া ছোকরা নরেন্দ্র মোদীর দল করে। মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। মতুয়া সমাজও তাদের সঙ্গে নেই।’ তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বড়মার সম্পর্ক মা-মেয়ের মতো, অত্যন্ত মজবুত। গোটা ঠাকুরনগর জুড়ে উন্নয়ন হয়েছে। সুতরাং নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বড়মার কোনও দরকারই নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। মতিভ্রম হয়েছে। না হলে ওঁর ইন্টেলিজেন্স ফেল করেছে। ওঁর গোয়েন্দারা যদি ঠিক খবর দিতেন, তা হলে উনি জানতে পারতেন, মতুয়া সমাজের কেউ ওঁকে ভোট দেবে না।’ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, ঠাকুরনগরে যদি নরেন্দ্র মোদী জনসভা করেন, পরে সেখানেই পাল্টা জনসভা করবে তৃণমূল।