৫ রাজ্যে পদ্মের ভরাডুবির পর থেকেই চিন্তিত গেরুয়া শিবির। তার ওপর জিএসটি, রাফাল, সিবিআই, কৃষক অসন্তোষের মতো ইস্যুগুলি তো রয়েছেই। ফলে সকলেই এখন ব্যস্ত নিজের গড় বাঁচাতে। বাংলায় এসে দিলীপ ঘোষদের ‘উৎসাহ’ দেওয়ার ফুরসত কোথায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের! তাই বঙ্গ-বিজেপির অনুরোধ সত্ত্বেও বাংলায় আসার সময় বের করতে পারছেন না যোগী আদিত্যনাথ, রাজনাথ সিং, নিতীন গাডকরির মতো বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। এমনকি, তুলনায় ‘লাইটওয়েট’ রবিশঙ্কর প্রসাদ, পীযূষ গোয়েলরাও নানা যুক্তি দেখিয়ে পিছিয়ে দিচ্ছেন তাঁদের বঙ্গ-সফর।
বিজেপির রাজ্য সিভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য রাজ্যনেতারা ঠিক করেছেন, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে একটি করে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও জনসভা’ করবেন। সেখানে দিল্লীর তাবড় তাবড় নেতারা এসে ভাষণ দিন, এমনটাই ইচ্ছে বঙ্গ বিজেপির। কিন্তু ‘পছন্দের নেতাদের’ কাছ থেকে এখনও সবুজ সঙ্কেত না মেলায় কপালে ভাঁজ পড়েছে তাঁদের। মোদী-শাহর বদলে দিল্লী থেকে কয়েকজনের নাম বাংলায় সভা করার জন্য প্রস্তাব করা হলেও তাতে মন ভরছে না রাজ্য বিজেপি নেতাদের। আর এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, এবং বিহারের বিজেপি নেতা সুশীল মোদী ছাড়া আর কেউই নিশ্চিত ভাবে সময় দেননি বাংলায় জনসভার জন্য।
জানা গেছে, আগামী ২৭ তারিখ হাওড়ায় জনসভা করবেন সুশীল। আর বিপ্লব চলতি মাসের শেষ দুই দিন জনসভা করবেন ঘাটাল এবং জঙ্গিপুরে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য বিজেপির কোর কমিটি। সেখানে ঠিক হয়েছে, কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্য বিজেপির পছন্দের নামের তালিকা নিয়ে শুক্রবারই দিল্লী গিয়ে কথা বলবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘কাল রাতেই আমরা জানতে পারব দিল্লীর শীর্ষ নেতাদের কারা কারা বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচাও সভা করতে আসছেন।’ অন্যদিকে, রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, বাংলায় রথযাত্রা ভেস্তে যাওয়ার ফলে গোটা দেশের কাছে মুখ পুড়েছে মোদী-শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তাই অস্বস্তি এড়াতেই বাংলায় না আসার ‘বাহানা’ দিচ্ছেন দিল্লীর বিজেপি নেতারা।