লোকসভা ভোটের পর পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে দার্জিলিংয়ের ম্যালের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, জিটিএ চুক্তির নবীকরণও হবে ওই সময়। সেটিকে আরও উন্নত করা হবে। তারপর স্থায়ী শান্তির পথে এগোবে পাহাড়। মমতা বলেন, ‘অনেক কাজ আমরা করেছি। পাহাড়ের ভালোর জন্য আরও যা যা পদক্ষেপ দরকার সব করব’।
বস্তুত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে আন্তরিক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই গঠিত হয় জিটিএ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখতে চাই দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পঙের উন্নয়নের জন্য আরও ভাল কিছু হতে পারে কি না, তাই লোকসভা নির্বাচনের পর জিটিএ চুক্তি রিভিউ করা হবে।’ এরসঙ্গেই মমতা বলেন, ‘আমরাই দার্জিলিং হিল ইউনিভার্সিটি তৈরি করেছি, কেন্দ্রের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি থাকলেও বিজেপি তা নির্বাচনের পর ভুলে গেছে। এরা শুধু নির্বাচনের আগে বড় বড় কথা বলে, কিন্তু কিছু করে না। আমরা এমন নই। পাহাড়ের জন্য যতটা দরকার, তা আমরা করব।’
পাহাড়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই ১১ জনজাতির উপজাতি স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছে। এই নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও দিয়েছে রাজ্য। সে–কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্র এই স্বীকৃতি এখনও দেয়নি। পরবর্তী সরকার এলে আমরা এটা করে দেব। যদি আইন–কানুনে বাধা না থাকে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকেই স্বাগত জানিয়েছেন জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের মানুষের আশা–আকাঙ্ক্ষা বোঝেন। তাঁর হাত ধরেই উন্নয়ন সম্ভব। তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই’।
দার্জিলিং ম্যালের মঞ্চ থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় পর্যটন প্রকল্প, পানীয় জল, রাস্তার কাজের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়িতে শিলিগুড়ি গেট, পঞ্চম মহানন্দা সেতু-সহ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের অনেক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করা হয়। ওই মঞ্চ থেকেই পাহাড়ে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সফলদের পুরস্কৃত করা হয়। তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন পরিষেবাও। পাহাড়ে প্রাথমিক স্কুলের ১২১ জনের হাতে নিয়োগপত্রও তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।