বাংলায় ধর্মের ভিত্তিতে আগুন নিয়ে খেলতে এলে তাঁর ফল যে ভাল হবে না তা বারবারই বলে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে যে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না, ব্রিগেডেই সে কথা স্পষ্ট করে দিয়ে মমতা নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেখানে বিজেপি সভা করবে সেখানেই পাল্টা সভা করবে তাঁর দল। তাই মালদায় অমিত শাহর সভার পর চুপ করে বসে নেই তৃণমূল। শাহর সভার ৮ দিনের মধ্যেই আগামী ৩০ জানুয়ারি মালদার সাহাপুরে ওই একই জায়গায় বিজেপির পাল্টা সভা করতে চলেছে তারা। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন দলের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা।
জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি ছোট জায়গায় বেশি মঞ্চ বানায়৷ তাতে মাঠে বেশি লোক থাকতে পারে না৷ কিন্তু আমরা একটি মঞ্চ বানাবো এবং তার চারগুণ লোককে নিয়ে জনসভা করে দেখাবো। আগামী ৩০ জানুয়ারি ওই ময়দানেই হবে আমাদের সভা।’ মালদা তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘অমিত শাহ যা যা বলে গেছেন, তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে, বুধবারই ঝাড়গ্রামে সভা করেছে বিজেপি। সভায় অমিত শাহ অনুপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি-সহ দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য রাজ্য নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো ঝাড়গ্রামেও তাই পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল। শুক্রবার এ বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছেন জেলা সভাপতি ও বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। ওই দিনই ঠিক হবে বিজেপির পাল্টা সভা কোথায় হবে।
গতকালই সুকুমার জানান, ‘বিজেপির ঝাড়গ্রামের সভায় লোক আনা হয়েছিল ঝাড়খন্ড থেকে। স্থানীয় মানুষ বিজেপির সভায় যায়নি। আমরাও পাল্টা সভা করছি। বিজেপির সভায় যা লোক হয়েছিল, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি লোক আমাদের সভায় আসবে। এর আগেও ঝাড়গ্রামে আমাদের সভা হয়েছে। কিন্তু কোনও বারই ঝাড়খন্ড থেকে লোক আনতে হয়নি। এলাকার আদিবাসীরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে তৃণমূলের সভায় যোগ দিয়েছেন। এবারও প্রচুর ভিড় হবে।’
প্রসঙ্গত, আজই ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন জেলার পর্যবেক্ষক তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির পাল্টা সভা ও সংগঠন নিয়ে পার্থর সঙ্গে বিস্তারিত কথা হবে বলে জানিয়েছেন সুকুমার।