মঙ্গলবারই মালদায় সভা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সভামঞ্চ থেকে তিনি তৃণমূলকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে, জেলার হাতেগোনা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেছেন। তার জবাব দিতেই আগামী ৩০ জানুয়ারি পুরাতন মালদায় বিজেপির পাল্টা সভা করছে তৃণমূল। ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন দলের একাধিক মন্ত্রী ও নেতা।
মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছেন মালদা তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। গতকাল মোয়াজ্জেম বলেন, ‘অমিত শাহ যা যা বলে গেছেন, তার জবাব দেওয়া হবে। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। এ বিষয়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনও নেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে, মালদায় অমিত শাহর সভার পর চুপ করে বসে নেই তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে গতকালই জানানো হয়েছে, ‘বিজেপি ভয় পেয়েছে। ওদের দিন শেষের দিকে।’ গতকাল নাকতলায় নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করেন দলের মহাসচিব পার্থ। তিনি বলেন, ‘ফাঁকা কলসি বাজে বেশি। ওরা ৬টা লোকও জোগাড় করতে পারে না। মিটিংয়ের খরচই তো পোষাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়। দেশে কালো টাকাও ফেরত আসেনি। আর ১৫ লক্ষ টাকাও আজও কারও অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি। মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছে ওরা। তাই আগামী নির্বাচনে শূন্য পাবে।’ সেইসঙ্গে পার্থর অভিযোগ, ‘স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে ধ্বংস করছে বিজেপি। সংবিধানকেও আঘাত করার চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় রাজ্যে শান্তি ফিরেছে। সেই শান্তি নষ্ট করতে চাইছে বিজেপি।’
পাশাপাশি শাহর উদ্দেশ্যে পার্থর কটাক্ষ, ‘উনি কি সুস্থ? সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেতনবৃদ্ধি হয়েছে। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা এখনও ১ তারিখেই বেতন পান। উন্মাদ না হলে যা ইচ্ছে তাই অভিযোগ করা যায় না।’ দেশে এই মুহূর্তে মূল চর্চার বিষয় ইভিএম। সে প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব জানান, ‘অনেক আগেই আমরা ইভিএম নিয়ে সেমিনার করেছি। ইভিএম ত্রুটিমুক্ত নয়। তাই এ ব্যাপারে জোটের নেতারা নির্বাচন কমিশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রিগেডে মমতার সভার পরও ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’