প্রয়াত বাংলাদেশের খ্যাতনামা গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন শিল্পী। অবশেষে মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ ঢাকার আফতাব নগরের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, গত একবছর ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত বছরের মাঝামাঝি তাঁর হৃদযন্ত্রের ধমনীতে দুটি স্টেন্ট লাগানো হয়েছিল। তার থেকেই তার শরীর ভেঙে পড়ে। এদিন হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন বুলবুল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণ করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেন তিনি। অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার এবং সুরকার বুলবুল বাংলাদেশের তিনশোরও বেশি সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর লেখা এবং সুর করা বহু জনপ্রিয় গান গেয়েছেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, অ্যান্ড্রু কিশোর, খালিদ হাসান মিলু, কনকচাঁপা এবং সামিনা চৌধুরির মতো জনপ্রিয় শিল্পীরা।
বাংলাদেশে গানের জগতে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন বুলবুল।আজও তাঁর রচিত গান- ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ঘুমিয়ে থাকো গো স্বজনী’, ‘চিঠি লিখেছে বউ আমার’, ‘জাগো বাংলাদেশ জাগো’ দারুণ জনপ্রিয়। সঙ্গীতে অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক, ‘প্রেমের তাজমহল’ এবং ‘হাজার বছর ধরে’ ছবির জন্য দু’বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার-সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ৬৩ বছরের এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশে।