দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। কিন্তু রাফালের পাশাপাশি সিবিআই ইস্যু নিয়েও টালমাটাল কেন্দ্র। এবার সিবিআই-এর কোন্দল নিয়ে নতুন মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে অলোক বর্মার অপসারণ এবং অস্থায়ী হিসেবে নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ অবৈধ দাবি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে মামলাটি করেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।
যেহেতু সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের হাই পাওয়ার কমিটিতে প্রধান বিচারপতি গগৈ রয়েছেন এবং আগে এই সংক্রান্ত মামলার রায় দিয়েছেন, তাই তিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
২৩ অক্টোবর মধ্যরাতে তৎকালীন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক বর্মাকে ছুটি পাঠানোর নির্দেশ অবৈধ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের এই রায়ে পদ ফিরে পেয়েছিলেন অলোক বর্মা। কিন্তু তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে দমকলে বদলি করে দেওয়া হয়। অস্থায়ী সিবিআই ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন নাগেশ্বর রাও।
অলোক বর্মার এই অপসারণ এবং নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ বৈধ নয় বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কিন্তু সেই শুনানি থেকেই প্রধান বিচারপতি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। কারণ অলোক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ সংক্রান্ত রায় দিয়েছিল তাঁরই নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আবার অলোক বর্মার উত্তরসূরি নিয়োগের যে হাই পাওয়ার কমিটি গঠিত হয়েছে, তাতেও রয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এই কমিটিতে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। বর্মার চেয়ারে কে বসবেন, সেটা ঠিক করতে আগামী ২৪ জানুয়ারি বৈঠকে বসবে এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি।
তার আগে অলোক বর্মার নিয়োগ বৈধ কিনা, বা তাঁর জায়গায় অস্থায়ী ভাবে নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ ঠিক পদ্ধতিতে হয়েছে কি না, সেই বিচার প্রধান বিচারপতি করলে তাতে স্বার্থের সংঘাত হতে পারে। এই সব কারণেই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ওই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।