বাংলায় বিজেপির মাত্র ১! – মমতার ব্রিগেড দেখে বিধায়ক সংখ্যা গুলিয়ে ফেললেন মোদী
তখনও ব্রিগেডে মহাসমাবেশ চলছে। নরেন্দ্র মোদী সিলভাসায়। মুখ খুললেন, এবং তাড়াহুড়োয়ে বলে ফেললেন,‘বাংলায় আমাদের মাত্র একজন বিধায়ক। ওই একজন বিধায়কই বিরোধীদের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছেন!’ ঘটনা হল একজন নয়। বাংলায় বিজেপি-র তিনজন বিধায়ক আছেন। মোদীর এমন ভুল মন্তব্য শুনে হেসে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সৌজন্য’-র সাংবাদিক সম্মেলনে দস্তুরমতো ঠেস দিলেন মোদীকে।
মমতার ব্রিগেডের দিনই সুরাটে সেনা বাহিনীর কে নাইন বজ্র-টি স্বচালিত হাউইৎজার উদ্বোধন করেন মোদী। তারপর যান দাদরা নগর হাভেলির রাজধানী সিলভাসায় এক মেডিক্যাল কলেজের উদ্বোধনে। তারপর এক সরকারি সভায় আগাগোড়া ব্রিগেডের জনসভাই ছিল তাঁর ভাষণের বিষয়। মোদী বলেন, ‘আমরা দুর্নীতি দমন পদক্ষেপ নিতেই আতঙ্কে পড়েছে কংগ্রেস ও অন্যরা। স্বাভাবিক, ওরা জনসাধারণের টাকা লুটতে বাধা পেয়েছে যে! তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে মহাজোট করছে’। বিরোধীরা স্বজনতোষণে ব্যস্ত। ভাই-ভাতিজাদের তুলে ধরতে ব্যস্ত। এমনও অভিযোগ করে ফের কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন,‘যতই মহাগঠবন্ধন করুক, ওই সাম্রাজ্যকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’ মোদীর কথায়, ‘পুরুষ, মহিলা, প্রথমবারের ভোটদাতা, সবাই এই বিরোধী নেতাদের দেখছেন। কী নিয়ে আসল লড়াই বুঝছেন। এই লড়াই সদর্থক ভাবনা বনাম নেতিবাচক মনোভাবের। এই লড়াই উন্নয়ন বনাম দুর্নীতির’।
দুপুর ১টায় ব্রিগেডের সংযুক্ত ভারত জনসভা যখন প্রায় প্রথমার্ধ্বে এবং মোদী যখন সিলভাসার সভা শুরুও করেননি, তখনই দিল্লীতে বিজেপি-র সদর দফতরে তড়িঘড়ি প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আগ বাড়িয়ে বলেন, ‘আমরা একেবারেই ভীত নই। ওটা রাজনৈতিক সুবিধাবাদীদের জোট। ব্যর্থদের জোট। এই জোট তৈরিই হয়েছে হতাশা থেকে। মঞ্চে যাঁরা আছেন সব স্বার্থপর।’ তাঁর কথায়, ‘ঞ্চে ৫০–৫৫ জনের মুখ। তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ে একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না। ওঁদের নেতা কে’?
প্রসঙ্গত, তাঁর কিছু পরে ব্রিগেডের মঞ্চে অখিলেশের হাজির জবাব, ‘বিজেপি বলছে, দাবিদার তো অনেক, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে? জনতাই প্রধানমন্ত্রী বাছাই করবেন’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সেখানে মোদি-শাহ জুটিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। একইসঙ্গে জনসভায় হাজির দুই বিজেপি বিক্ষুব্ধ নেতা যশোবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরিকে ‘সুবিধাবাদী’ আখ্যা দিয়ে রুডি বলেছেন,‘কিছু মানুষ বড় বুদ্ধিমান। সাংসদের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেতে বিজেপি–র ছাপ বহন করেন। আবার দলের হুইপ জারি থাকলে অজুহাত খাড়া করেন, যাতে সদস্যপদ না খোয়াতে হয়। পাশাপাশি সুবিধাবাদী হিসেবে মঞ্চে গিয়ে ওঠেন। দল এর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।’