‘কফি উইথ করণ’-এ হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুলের লিঙ্গ বৈষম্যমূলক মন্তব্য কোনোভাবেই সমর্থন করছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও নিউজিল্যান্ড সফর থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে দুজনকে। অধিনায়ক কোহলিও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তাদের দিক থেকে। তবে এমন দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এসে মহিলাদের সম্পর্কে এমন অশালীন মন্তব্য করেছিলেন যে এখন বাড়ি থেকেই আর বেরোতে পারছেন না হার্দিক পাণ্ডিয়া। একই অনুষ্ঠানে লোকেশ রাহুলও ছিলেন। তিনি সরাসরি কিছু না বললেও পাণ্ডিয়ার মন্তব্যে সায় দিয়েছেন। যার ফলে রুষ্ট বোর্ড। দুই ক্রিকেটারকেই নির্বাসিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে নামতে পারবেন না দুই ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেই দুই ক্রিকেটারকে
দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। স্বয়ং বিরাট কোহলিও বিরক্ত দলের দুই ক্রিকেটার এরকম মন্তব্য করে ফেলায়। তবে দু’দিন আগে পাণ্ডিয়া এবং রাহুলের হয়ে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনি বলেছিলেন, ভুল করে ফেলেছে ওরা। আর একটা সুযোগ দেওয়া হোক। এবার দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিও সেই কথাই বললেন।
সিএবি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘মানুষ ভুল করে। তবে সেই ভুল যেন দ্বিতীয়বার না হয়।’ এরপরই সৌরভ যোগ করলেন, ‘ওই এপিসোডটা আমি দেখিনি। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি না আধুনিক যুগের ক্রিকেটাররা দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়। ওরা ভুল করেছে। তবে আমি বলব, ওরা ভুল শুধরে ফিরে আসুক। আর সেটা ওরা পারবে। আমরা মেশিন নই। মানুষ। তাই ভুল হয়ে যেতেই পারে। দুই ক্রিকেটারই তরুণদের কাছে রোল মডেল। চাপের মুখে একাধিকবার ভাল পারফর্ম করেছে হার্দিক ও রাহুল।’
টিম ইন্ডিয়ার বর্তমান ক্রিকেটাররা কি একটু বেশিই উচ্ছৃঙ্খল? আগের প্রজন্মের ক্রিকেটাররা কিন্তু এরকম বিতর্কে জড়াননি। সৌরভ বলছেন, ‘আধুনিক যুগের ক্রিকেটাররাও সমান দায়িত্ববান। শৃঙ্খলাপরায়ণ। এমন কিছু ঘটনা নিজের অজান্তেই ঘটে যায়। বিরাট কোহলিকে দেখুন। সবার কাছে রোল মডেল।’ একটু থেমে যোগ করলেন, ‘ভারত বরাবরই বিখ্যাত ক্রিকেটারদের জন্ম দিয়েছে। প্রথমে সুনীল গাভাসকার। তারপর শচীন তেন্ডুলকার। এখন বিরাট কোহলি। ওর হাতে ভারতীয় ক্রিকেট নিশ্চিন্ত।’