শহরে ইদানীং মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। আর প্রায়শই ঘটে যাওয়া অমন আত্মহত্যার ঘটনার জেরে বন্ধ রাখতে হয় মেট্রো চলাচল। যার ফলে গন্তব্যে পৌঁছতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন দুর্ভোগ এড়াতে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে রাখা হবে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোরের ব্যবস্থা। মেট্রো স্টেশনে দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা রুখতে স্ক্রিন ডোর লাগানোর সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। অবশেষে শুরু হল সেই স্ক্রিন ডোর বসানোর কাজ।
এই প্রযুক্তিতে প্ল্যাটফর্মের ধারে থাকবে একটি স্বচ্ছ কাচের দেওয়াল। তাতে ট্রেনের কামরার মাপ অনুসারে বিভিন্ন জায়গায় থাকবে দরজা। ট্রেন এসে ঠিক ওই দরজার মুখে দাঁড়াবে। এর পর ট্রেনের দরজা ও প্ল্যাটফর্মের দরজা খুলবে একসঙ্গে। যাত্রীদের ওঠা নামার পর ফের দু’টি দরজা একইসঙ্গে বন্ধ হবে। এরপর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যাবে ট্রেনটি। বিষয়টি সহজভাবে বোঝার জন্য অটোমেটিক লিফ্ট বা এলিভেটরের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।
লিফটের ক্ষেত্রে যেমন নির্দিষ্ট তলে পৌঁছনোর পর লিফটের দরজা ও সেই তলে থাকা দরজাদু’টি একই সঙ্গে খোলে, ঠিক তেমনভাবেই কাজ করবে এই প্রযুক্তি। শুধু লিফ্টের ক্ষেত্রে একটিমাত্র দরজা থাকে। এক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি দরজা খুলবে। এই স্ক্রিন ডোরের ফলে কেউ কোনওভাবেই আর লাইনের দিকে এগোতে পারবেন না। এরফলে মেট্রোয় দুর্ঘটনা ও আত্মহত্যা রোখা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী ইস্ট-ওয়েস্ট কর্তৃপক্ষ। যার ফলে আর ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে না নিত্যযাত্রীদের।