ধারে-ভারে এবার রেকর্ড গড়তে চলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউণ্ডের জনসভা। রাজ্যের পরিসর ছাড়িয়ে গোটা দেশের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে চলেছে শনিবারের এই সভা। এখান থেকেই বিজেপি হঠাও-এর ডাক দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা। দিল্লীতে গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের রণনীতি ঠিক করে এসেছেন। জানা গেছে, ব্রিগেডের সভার পর সময় থাকলে নেতাদের সঙ্গে চা-চক্রে মিলিত হবেন মমতা। সেখানেও পরবর্তী কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা।
কংগ্রেস প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খাড়্গে আসায় সভার গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে। দিল্লীর বার্তা, আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতার পাশে কংগ্রেস থাকবে। বাংলার রাজনীতি আলাদা। তাই বিজেপিকে হারাতে বৃহত্তর সবার্থে সর্বভারতীয় কংগ্রেস মমতার সঙ্গে যেতে রাজি।
মঞ্চে থাকবেন ৩ মুখ্যমন্ত্রী – চন্দ্রবাবু নায়ডু, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও এইচডি কুমারস্বামী। থাকছেন দেবগৌড়া, শারদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, স্ট্যালিন, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা-সহ প্রায় ২০ জন নেতা। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘রাজ্যসভার সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ব্রিগেডে আসছেন’। সকলে মিলে মমতার সঙ্গে সহমত হয়ে একটি ফেডারাল ফ্রন্ট তৈরি করতে চান। ফ্রন্ট তৈরি হলে করা হবে চেয়ারম্যান ও আহ্বায়ক।
মোদীবিরোধী আন্দোলনে বছর দুয়েক ধরে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন মমতা। রাজ্যে রাজ্যে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেওয়ার মডেলের প্রবক্তা তিনি। ইতিমধ্যে সেই মডেলের অনুসরণে অখিলেশ এবং মায়াবতীর আসন সমঝোতা হয়েছে। তবে আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে একমাত্র মমতারই নিজ রাজ্যে নিরঙ্কুশ আধিপত্য রয়েছে। তাই সংসদে একক শক্তির বিচারে আসন্ন সপ্তদশ লোকসভায় বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া তৃণমূল তৃতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠতে চলেছে। ফলে দেশ পরিচালনায় মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূলই যে চালকের আসনে, সেটা স্পষ্ট।