দেশে চাকরি প্রচুর। কিন্তু লোকে নিতেই চায় না। বেকারত্বের বাজারে কতকটা এমনই মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধালেন নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষামন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
গত চার বছর আট মাসে ৯ কোটি কর্মসংস্থান দেওয়ার দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই জায়গায় মাত্র ৯ লাখ হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তাঁদের দাবি, নতুন চাকরি তো দূর অস্ত, নোটবন্দী, জিএসটি-র পর কয়েক কোটি চাকরি কমে গিয়েছে। সরকারের অনেক পদও শূন্য। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে দিল্লীতে এক সভায় প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে সরকার অনেক কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু যাঁরা স্বেচ্ছায় কাজ না-করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের বেকার বলা যায় না’।
প্রকাশ জাভড়েকরের আরও দাবি, ‘ভারতে কত কর্মসংস্থান হচ্ছে, তার হিসাবটাই ঠিক করে রাখা হয় না। বিশ্বব্যাঙ্কের একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যা থেকে সরকার উদ্ধৃতি দেয়’। প্রকাশের দাবি, সংরক্ষিত ক্ষেত্রে তাও তথ্য রাখা হয়। কিন্তু অসংরক্ষিত ক্ষেত্রের কোনও তথ্য থাকে না। যারা নিজের ইচ্ছায় স্বনিযুক্তি প্রকল্পকে বেছে নিয়েছেন, তাঁদেরও কোনও হিসাব নেই। অনেক মহিলা নিজের ইচ্ছায় কাজ না করে ঘর সামলান, তাঁদের নামও কর্মহীনের তালিকায় চলে যায়’।
প্রকাশের এই মন্তব্যের পর বিরোধীদের প্রশ্ন, এতদিন ধরে কর্মসংস্থানের সঠিক তথ্য রাখার কাজটা কেন করেনি সরকার? কেন শেষ প্রহরে এসে সরকারকে এই ধরণের যুক্তি দিতে হচ্ছে? বিরোধীদের দাবি, আসলে কর্মসংস্থান হয়নি বলে মন্ত্রীরা এখন এই ধরণের যুক্তি দিয়ে দায় এড়াবার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া সরকারি হিসেব বলছে, কৃষকদের আয় কমছে, রোজগার বৃদ্ধির একটিও সূচক অনুকূল নয়। জিডিপির হার বাড়ছে, কিন্তু সেটি শুধু সংগঠিত ক্ষেত্রের হিসেব। নোটবন্দি আর জিএসটি-র পরে অসংগঠিত ক্ষেত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে কাজ আসবে কোথা থেকে?