মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দুজনে। এনআরএস হাসপাতালে কুকুরছানা খুনের ঘটনায় তাঁদের কোনও হাত নেই। কিন্তু ঘটনাচক্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁদের মুখ। ফলে ওই দুজনকেই ১৬টি কুকুরছানা খুনের অভিযুক্ত ভেবে নেটিজেনরা এখন ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়। ফোন করে ওই দুই তরুণীকে ‘কুকুরের মতো পিটিয়ে’ মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কারণ, ছবির পাশাপাশি, তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল সাইটে।
জানা গেছে, তাঁদের একজন ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে কর্মরত। অন্যজন রায়গঞ্জ হাসপাতালে সিস্টারইন-চার্জ।
ভাইরাল ভিডিয়োর সঙ্গেই ফেসবুক থেকে ওই দুই তরুণীর ছবি কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আপলোড করে দিয়েছে। আর তা এতটাই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে যে, ওই দু’জনের আত্মীয়-পরিজনেরাও এখন তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখছেন বলে ওই দুই মহিলার অভিযোগ। ফলে সামাজিক পরিচিতি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এখন আতঙ্কে ভুগছেন দু’জনেই।
তাই মঙ্গলবার বাধ্য হয়েই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ করেছেন। একজন মগরাহাট থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। অন্য জন রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।
মগরাহাটের বাসিন্দা ওই তরুণীর স্বামী আব্দুর রহমান লালবাজারে পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে দেখাও করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমার স্ত্রী জড়িত নয়। এমনকি, তাঁর বন্ধুও জড়িত নয়। ইচ্ছে করেই দু’জনের ছবি দিয়ে আমাদের সামাজিক পরিচিতি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। এমনকি, খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।’ রায়গঞ্জের ওই তরুণীও বলেন, ‘আমি আতঙ্কিত হয়ে রয়েছি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে সাজা হওয়া উচিত।’ তবে দুজনেই স্বীকার করেছেন, হুমকি পাওয়ার পর থেকেই তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন।