১৯৯২ সালে ব্রিগেডের এক বিপুল জনাসমাবেশ থেকে তৎকালীন বাম সাম্রাজ্যের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মোদী সাম্রাজ্যের বিদায়ঘণ্টা বাজাতে আগামী শনিবার আরও এক ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন বাংলার অগ্নিকন্যা।তাই এই রাজসূয় যজ্ঞের জন্যে প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ব্রিগেডে ৪০ লক্ষ মানুষ আসতে পারেন। এই ব্রিগেড কলকাতা আগে কখনও দেখেনি। ফলে এত মানুষের জন্যে নেওয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা।
বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে অস্থায়ী শিবিরে ব্রিগেড সমাবেশে আসা মানুষজনের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের পক্ষ থেকে। থাকছে শিবির ঘিরে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি প্রহরা। অগ্নিনির্বাপণ দফতরের আধিকারিকরাও ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাবেন। সিসি টিভিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণ। মঙ্গলবার বিধাননগরের উপনগরপাল (সদর) অমিত পি জাভালগি বলেন, “ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষজন সেন্ট্রাল পার্কের মেলা প্রাঙ্গণে থাকবেন। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবেন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা। বুধবার সন্ধে থেকেই এখানে ব্রিগেডের লোকজন আসা শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে”। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আসা মানুষজন সেন্ট্রাল পার্কে অস্থায়ী শিবিরে থাকবেন। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, দিনাজপুর–সহ উত্তরবঙ্গের ৬–৭টি জেলা থেকে আসা ৩৫–৪০ হাজার মানুষ থাকবেন এখানে।
সমাবেশে যোগ দেওয়া সকলে যাতে কথা শুনতে পান, সেজন্য বসানো হচ্ছে হাজারটি মাইক। ৭০০টি আয়রনের রড দিয়ে তৈরি হচ্ছে কাঠামো। থাকছে ওয়াচটাওয়ার। থাকবে এলইডি টিভি। ভিড় সামলানোর জন্য থাকবেন প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের মতো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে দূরের কর্মী-সমর্থকদের জন্য।
ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে আসা মানুষজন যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন তার জন্য সতর্ক বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। যান চলাচল ব্যবস্থা মসৃণ রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তায় থাকবেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা।