১৭ টি কুকুরছানার মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই দোষীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরার মুখে নিজেদের দোষ কবুল করে নেয় ধৃত ২ নার্সিং পড়ুয়া মৌসুমী মণ্ডল ও সোমা বর্মণ। সূত্রে খবর, বহিষ্কার করা হতে পারে সোমা বর্মণ ও মৌসুমী মণ্ডল নামে এই দুই ছাত্রীকে। কুকুর নিধন কাণ্ডে আজই রিপোর্ট দেবে কমিটি। তারপরই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে এনআরএস কর্তৃপক্ষ। রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ৫ ছাত্রীকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, ২ যুবতী নির্বিচারে লাঠিপেটা করে কুকুরছানাগুলিকে হত্যা করছে। শুধু পুলিশ নয়, সারমেয় নিধন কাণ্ডে তৎপর কলকাতা পুর নিগমও। রাজ্যের সব হাসপাতাল চত্বরেই করা হবে নির্বীজকরণ ক্যাম্প। এই মর্মে আজই চিঠি দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে। এমনটাই জানালেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
একদিকে যখন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পশুপ্রেমীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অন্যদিকে তখন অন্য আরেক দাবি জানিয়েছেন নার্সিং পড়ুয়ারা। এনআরএস চত্বরকে কুকুরমুক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, হাসপাতাল চত্বরকে কুকুরমুক্ত করা সম্ভব নয়। কুকুরদের নির্বীজকরণ করা হবে। নির্বীজকরণের পর আবার হাসপাতাল চত্বরেই রাখা হবে কুকুরদের। তিনি বলেন, রাজ্যের সব হাসপাতালে নির্বীজকরণ ক্যাম্প করবে পুরসভা। হাসপাতাল চত্বরে ক্যাম্প করার জন্য জায়গা চেয়ে আজই চিঠি দেওয়া হবে হাসপাতালগুলিকে। অনুমতি মিললেই ক্যাম্পাসে ক্যাম্প করে নির্বীজকরণ করা হবে কুকুরদের।
হাসপাতালের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য অফিসগুলিতেও ক্যাম্প করার অনুমতি চেয়ে পুরসভা চিঠি দিচ্ছে বলে জানান তিনি। আরও বলেন, ক্যাম্পাসে জায়গা না হলে কুকুরদের নিয়ে আসা হবে পুরসভার ক্যাম্পে। পুরসভার ক্যাম্পে নিয়ে এসে অস্ত্রোপচার করা হবে কুকুরের। ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কুকুরের জন্য খাঁচা রাখারও আবেদন করেছেন ডেপুটি মেয়র।