এই তো দিনকয়েক আগেও মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে কত সমালোচনা হয়েছে। তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন। তাঁর জায়গায় ‘তাজা রক্ত’র দরকার দলে। অনেকে আবার সুর চড়িয়ে বলেছেন, ধোনির এখনই অবসর নেওয়া উচিত। মঙ্গলবার নিন্দুকদের থামিয়ে দিলেন মাহি।
প্রথম একদিনের ম্যাচেই স্লো ইনিংসে খেলার জন্য নিন্দুকরা মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন ৷ কিন্তু দ্বিতীয় একদিনের খেলাতেই পুরো উলট পুরাণ ৷ মাহি এদিন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন বয়স শুধুমাত্রই সংখ্যা তার কাছে ৷ এদিন ৫০ ওভার উইকেট-কিপিং করার পর যেভাবে প্রায় গোটা ইনিংস ব্যাট করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি তাতে মুগ্ধ বিরাট কোহলিই ৷
অ্যাডিলেডে ভারতের জয়ের নায়ক হিসেবে উঠে আসছে দুটো নাম। এক, অধিনায়ক বিরাট কোহলির দুরন্ত সেঞ্চুরি। দুই, শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরা মহেন্দ্র সিং ধোনি। ম্যাচের পর অবশ্য নিজের প্রাক্তন অধিনায়ককে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বললেন, “এটা ছিল এমএস ক্লাসিক।”
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বিরাট কোহলি বলেন, ‘‘কোনও সংশয় নেই যদি এই দলে যদি ধোনি না থাকতেন, তা হলে আজ রাতে এমএস ক্লাসিক দেখা হত না। ও দারুণভাবে খেলাটাকে চালিয়েছে। ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। ও নিজেই জানত ওর মাথায় কী চলছে। এবং শেষ বেলায় সেই বড় শটগুলো তৈরি রেখেছিল। বিশ্বকাপের জন্য ও অবশ্যই একজন গুরুত্ত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।”
এই রান তাড়া করা যে কঠিন ছিল না, সেটাও এ দিন জানাতে ভোলেননি কোহলি। অ্যাডিলেডের ৪০ ডিগ্রির উপরের গরমে খেলা যা মোটেই সহজ ছিল না, তা মনে করিয়ে দেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘‘এই গরম আর আর্দ্রতায় খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার প্যান্ট ঘামে সাদা হয়ে গিয়েছিল। নুন বেরিয়ে আসছিল। ধোনিও শেষ দিকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। ৫০ ওভার ফিল্ডিং করার পর ব্যাট এই গরমে সহজ ছিল না।”
ধোনিকে নিয়ে করা কোহলির মন্তব্যের সুরই দেখা গিয়েছে নেটিজেনদের মুখেও। সোশ্যাল মিডিয়া উপচে পড়েছে মাহি বন্দনায়। সবাই বলছেন, এই গুরুত্ত্বপূর্ণ ম্যাচে ধোনি বুঝিয়ে দিলেন, এখনও নিজের হাতে ম্যাচ ফিনিশ করার ক্ষমতা রাখেন তিনি। হয়তো রিফ্লেক্স আগের থেকে কিছুটা কমেছে, কিন্তু মাহি ম্যাজিক একই আছে।
ক্রিজ কামড়ে পড়ে থেকে ভারতকে জেতালেন তিনি। এই ধোনি আগের ফিনিশার নন। কিন্তু ফিনিশ করতে যে এখনও দক্ষ, তা প্রমাণ করে দিলেন।